Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Russia

বাতাসে করোনাভাইরাস আছে কি? জানাবে রাশিয়ার যন্ত্র!

পুতিন সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা ছাড়া বাতাসবাহিত যে কোনও ব্যাকটেরিয়া, টক্সিন বা ভাইরাস সহজেই শনাক্ত করে তা বিশ্লেষণে সক্ষম এই যন্ত্র।

রাশিয়ার দাবি, বাতাসে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব জানিয়ে দিতে পারে, এমন যন্ত্র আবিষ্কার করে ফেলেছে তারা। ছবি: সংগৃহীত।

রাশিয়ার দাবি, বাতাসে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব জানিয়ে দিতে পারে, এমন যন্ত্র আবিষ্কার করে ফেলেছে তারা। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
মস্কো শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২০ ১৭:০৭
Share: Save:

বিশ্বে প্রথম করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের খবর দিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিল রাশিয়া। তার কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই ফের এক বার চমক ভ্লাদিমির পুতিন সরকারের। এ বার রাশিয়ার দাবি, বাতাসে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব জানিয়ে দিতে পারে, এমন যন্ত্র আবিষ্কার করে ফেলেছে তারা। এমনকি, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে করোনার উৎসও বলে দিতে সক্ষম ওই যন্ত্র।

রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, ওই যন্ত্রটির নাম ‘ডিটেক্টর বায়ো’। পকেটে নিয়ে ঘোরাঘুরি করার মতো সাইজ নয়, বরং একটি রেফ্রিজারেটরের মতো বিশাল আকারের ওই যন্ত্রটি তৈরির কাজে যুক্ত দলে রয়েছেন গামালিয়া ইনস্টিটিউটের গবেষকরাও। যাঁরা করোনার প্রথম প্রতিষেধক ‘স্পুটনিক ভি’ তৈরির কাজও করে চলেছেন।

ইতিমধ্যেই ‘ডিটেক্টর বায়ো’ জনসমক্ষেও এনেছে রাশিয়া। পুতিন সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা ছাড়া বাতাসবাহিত যে কোনও ব্যাকটেরিয়া, টক্সিন বা ভাইরাস সহজেই শনাক্ত করে তা বিশ্লেষণে সক্ষম এই যন্ত্র। মস্কোর গামালিয়া ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিয়োলজি অ্য়ান্ড মাইক্রোবায়োলজির গবেষকদের দাবি, বাতাস থেকে নমুনা সংগ্রহের ১০-১৫ সেকেন্ডের মধ্যেই ‘ডিটেক্টর বায়ো’ ভাইরাসের উৎস বলে দিতে পারে। ফ্রিজের মতো দেখতে এই যন্ত্রে রয়েছে কেকের মতো বিভিন্ন স্তর। প্রতিটি স্তরই যেন আস্ত এক-একটি ল্যাবরেটরি। তা নিজস্ব পরীক্ষায় ব্যস্ত থাকে। দু’টি প্রক্রিয়ার পর তা বাতাসে ভেসে বেড়ানো বিপদ বিশ্লেষণ করতে পারে।

আরও পড়ুন: ‘বিজেপি থেকে পদত্যাগ তো করিনি, কিন্তু...’

আরও পড়ুন: জলে ভাসছে হাসপাতালও, টানা বৃষ্টিতে মধ্যপ্রদেশে ভাঙল ২১ বছরের রেকর্ড​

আরও পড়ুন: ‘ব্যক্তিগত প্রতিশোধ নিতে সেনা ব্যবহার করব না’, বাইডেনের নিশানায় ট্রাম্প

এটি কী ভাবে কাজ করে, তা-ও জানিয়েছেন গবেষকেরা। প্রথম পর্বে বাতাস থেকে নমুনা সংগ্রহ করার ১০-১৫ সেকেন্ডেই ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা টক্সিন সম্পর্কে সচেতন করে দেয় এটি। এই পর্বে অবশ্য তা কী ধরনের ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া, তা জানাতে পারে না যন্ত্রটি। তবে কয়েক সেকেন্ড চলার পর আরও বিস্তারিত নমুনা সংগ্রহ করে তা। এর পর তা বিশ্লেষণ করতে থাকে, এই পর্বটি এক থেকে দু’ঘণ্টা চলতে পারে।

করোনা আবহে রাশিয়ার চমক অব্যাহত থাকলেও ‘ডিটেক্টর বায়ো’ প্রথম যন্ত্র নয়, যা এই ভাইরাস চিনিয়ে দেওয়ার দাবি করল। তবে প্রায় পাঁচ বছর ধরে গবেষণার পর এই যন্ত্রটি যে করোনাকে চিহ্নিত করতে অন্যতম, সে দাবি করেছেন গবেষকেরা। সেই সঙ্গে গবেষকদের আরও দাবি, মেট্রো, রেলওয়ে বা বিমানবন্দরের মতো জায়গায় এর কার্যকরিতা প্রমাণিত হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE