শিলিগুড়িতে মাস্ক বিতরণ। ছবি: এএফপি।
নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপে মহামারি দেখা দিয়েছে পড়শি দেশে। গত তিন মাসেও পরিস্থিতি সামাল দিয়ে উঠতে পারেনি চিন। ভারত কি তা পারবে? বিশ্বের কোন দেশ কী ভাবে করোনার প্রকোপ সামাল দিচ্ছে, তার উপর নজর রেখেছে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থাগুলি। তারাই এ বার এমন উদ্বেগ প্রকাশ করল।
সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ভারতে তিন জন নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর তিনটি ঘটনাই সামনে এসেছে কেরল থেকে। তবে চিকিৎসার পর তিন জনই আপাতত সুস্থ। তা সত্ত্বেও নিশ্চিন্ত হতে পারছে না মার্কিন গুপ্তচর সংস্থাগুলি। তাদের আশঙ্কা, ভারতের যা জনসংখ্যা, তাতে যে কোনও মুহূর্তে পরিস্থিতি ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে। তা সামাল দিতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিকাঠামো রয়েছে তো ভারতের?
শুধু ভারত নয়, ইরান-সহ আরও একাধিক দেশের উপর নজর রাখছে মার্কিন সংস্থাগুলি। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন ইরানের উপ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইরাজ হারিরচি। তবে দেশের পরিস্থিতি কী, তা নিয়ে এখনও রাখঢাক করছে তেহরান। এখনও পর্যন্ত যা খবর মিলেছে, তাতে সেখানে ৯৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আদতে সংখ্যাটা ঢের বেশি বলে মনে করছে মার্কিন প্রশাসন।
আরও পড়ুন: করোনার হানা বিশ্ব বাজারে, বিপুল পতন সেনসেক্সে
আরও পড়ুন: দিল্লিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই কমিশনার বদল
এ নিয়ে গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে সাংবাদিক বৈঠক করেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়ো। তিনি জানান, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নেই তাদের কাছে। হতে পারে, সেই জন্যই সঠিক তথ্য চেপে যাচ্ছে তেহরান।
শুধু ইরানই নয়, সমস্ত উন্নয়নশীল দেশের চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়েই তারা উদ্বিগ্ন বলে ওয়াশিংটনের তরফে জানানো হয়েছে। হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর গুপ্তচর কমিটি পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে। করোনা নিয়ে সেখানেই সরাসরি রিপোর্ট করে গুপ্তচর সংস্থাগুলি। পরিস্থিতি সামাল দিতে উন্নয়নশীল দেশগুলির কাছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিকাঠামো এবং আর্থিক সংস্থান রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে ওই কমিটি। সেন্টার অব ডিজিস কন্ট্রোল-এর সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy