মুম্বইয়ের বাসিন্দা ৩৩ বছরের হামিদ নিহাল আনসারি।
অনলাইনে পাতানো ভিনদেশি বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে চাওয়ার খেসারত ৩ বছরের জেল! সেই খেসারত মিটিয়ে এ বার দেশে ফেরার পালা হামিদের। টানা তিন বছর পাকিস্তানের জেলে কাটানোর পর মুক্তি পেতে চলেছেন মুম্বইয়ের হামিদ।
২০১২ সালের ১৫ ডিসেম্বরের ঘটনা। মুম্বইয়ের বাসিন্দা ৩৩ বছরের হামিদ নিহাল আনসারি অনলাইনে এক পাক তরুণীর প্রেমে পড়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পাকিস্তানে চলে যান। তবে যাওয়ার পদ্ধতিতে গলদ ছিল। মুম্বই থেকে প্রথমে পৌঁছন আফগানিস্তান। তারপর বেআইনিভাবে আফগানিস্তানের সীমানা পেরিয়ে ঢুকে পড়েন পাকিস্তানে। তার জন্য পাকিস্তানের একটা নকল পরিচয়পত্রও বানিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু নকল পরিচয়পত্রেরবিষয়টি ধরা পড়তেই পাক কর্তৃপক্ষ তাঁকে গ্রেফতার করে।তারপর থেকে তিন বছর পেশোয়ার সেন্ট্রাল জেলে রয়েছেন হামিদ।
আগামিকাল তাঁর তিন বছরকারাবাসের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী, ১৬ ডিসেম্বর তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার কথা পাকিস্তানের। কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, হামিদের আইনজীবীর অভিযোগ, পাক সরকারের তরফে কোনও নথিপত্রই তৈরি হয়নি এখনও। অভিযোগ,এ বিষয়ে পাক সরকারের বিশেষ হেলদোল নেই।
আরও পড়ুন: ক্ষমা চান রাহুল, ভোট পিছনে রেখে রাফাল নিয়ে ময়দানে অমিত শাহ
সে কারণে সম্প্রতি তাঁর মুক্তি চেয়ে পেশোয়ার হাইকোর্টে আবেদন করেন হামিদের আইনজীবী মহম্মদ আনোয়ার। মামলা শুনে পাক সরকারের প্রতি ভীষণই অসন্তুষ্ট বিচারপতি। শাস্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কী ভাবে এক বন্দিকে জেলে আটকে রাখা যায়? তাঁর মুক্তির জন্য আগাম নথি তৈরি হয়নি কেন? অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে জানতে চেয়েছেন বিচারপতি।
আদালতে উপস্থিত পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের এক প্রতিনিধি পাল্টা জানিয়েছেন, মুক্তির জন্য সমস্ত নথি তৈরি করতে এক মাস সময় লাগবে। তারপর ওয়াঘা সীমান্তে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy