Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
COVID-19 Vaccine

চিনের তৈরি করোনা প্রতিষেধক নিরাপদ, জানাল ব্রাজিল

চিনের সিনোভ্যাক বায়োটেক সংস্থাটি করোনাভ্যাক নামের ওই সম্ভাব্য প্রতিষেধকটি তৈরি করেছে।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
সাও পাওলো শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২০ ১৩:৫৬
Share: Save:

ব্রাজিলে সম্ভাব্য করোনা প্রতিষেধকের ট্রায়ালে প্রাথমিক ফলাফলে উতরে গেল চিন। তাদের তৈরি সম্ভাব্য প্রতিষেধকটি মানবশরীরে প্রয়োগের পক্ষে নিরাপদ বলে জানিয়ে দিল সাও পাওলোর বুতানতান ইনস্টিটিউট। ব্রাজিলের বায়োমেডিক্যাল রিসার্ট সেন্টারগুলির মধ্যে শীর্ষে ওই সংস্থা। তবে চিনের তৈরি প্রতিষেধকটি কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর, তা জানতে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছে তারা।

চিনের সিনোভ্যাক বায়োটেক সংস্থাটি করোনাভ্যাক নামের ওই সম্ভাব্য প্রতিষেধকটি তৈরি করেছে। তার দু’টি ডোজই করোনার বিরুদ্ধে কার্যকর বলে দাবি ওই সংস্থার। তৃতীয় পর্যায়ে মানবদেহে সেটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে ব্রাজিলে। ৯ হাজার স্বেচ্ছাসেবক তাতে অংশ নিয়েছেন। তারই প্রাথমিক রিপোর্টে করোনাভ্যাককে মানবদেহের পক্ষে নিরাপদ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বুতানতানের ডিরেক্টর দিমাস কোভাস সংবাদমাধ্যনে বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত যতগুলি প্রতিষেধক পরীক্ষা করে দেখেছি আমরা, তার মধ্যে করোনাভ্যাকই সবচেয়ে নিরাপদ। গুণমানের বিচারেও বাকি প্রতিষেধকের চেয়ে ভাল সেটি।’’ তবে মোট ১৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে প্রতিষেধকটির প্রয়োগ সম্পূর্ণ হওয়ার পরই তার কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: প্রায় তিন মাস পর ৫০ হাজারের নীচে দৈনিক আক্রান্ত, দেশে এক দিনে মৃত ৫৮৭​

মাথাব্যথা, ক্লান্তিভাব ছাড়া করোনাভ্যাকের প্রয়োগে সে রকম গুরুতর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলেও জানিয়েছেন দিমাস। তিনি জানান, ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে করোনাভ্যাক প্রয়োগ করার সময় ২০ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবক ব্যথা অনুভব করেছেন। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ১৫ শতাংশের মধ্যে মাথাব্যথার সংস্থা দেখা গিয়েছে। মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছেন ১০ শতাংশ। ৫ শতাংশেরও কম স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে ক্লান্তি দেখা গিয়েছে। পেশির যন্ত্রণাও অনুভব করেছেন কিছু মানুষ।

সাও পাওলোর স্বাস্থ্য সচিব জন গোরিনচেতিয়েনের জানিয়েছেন, করোনাভ্যাক প্রয়োগের পর মানবশরীরে ভাইরাস প্রতিরোধকারী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে এ বছরের শেষ নাগাদ নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে জনমানসে করোনাভ্যাক প্রয়োগে ছাড়পত্র মিলবে বলে আশাবাদী তিনি। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত সিনোভ্যাকের কাছ থেকে করোনাভ্যাকের ৬ কোটি ডোজ কেনার চুক্তি হয়েছে ব্রাজিলের। এ ছাড়াও, তুরস্ক এবং ইন্দোনেশিয়াতেও মানবদেহে করোনাভ্যাকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে।

আরও পড়ুন: ভাইরাস আরও দু’বছর! নয়া ভ্যাকসিন পরীক্ষার উদ্যোগ​

করোনার প্রতিষেধক তৈরির প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে প্রতিযোগিতার পর্যায়ে চলে গিয়েছে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা সম্মিলিত ভাবে করোনার যে সম্ভাব্য প্রতিষেধক তৈরি করেছে, চূড়ান্ত পর্যায়ে তার ট্রায়াল চলছে। ফাইজার, মডার্নার তৈরি প্রতিষেধকও চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষায় আটকে রয়েছে। আগামী মাসে তাদের তৈরি ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী তা নিয়ে রিপোর্ট দেবে রাশিয়ার গামালিয়া ইনস্টিটিউট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE