Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সিটিবিটিও-তে পর্যবেক্ষক হওয়ার ডাক ভারতকে

ভিয়েনায় সিটিবিটিও-র দফতরে বসে যখন ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন জ়ার্বো, বুঝতে অসুবিধে হচ্ছিল না কত নিপুণ কূটনীতিক এবং সুবক্তা তিনি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সেমন্তী ঘোষ 
ভিয়েনা শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৯ ০২:৪১
Share: Save:

সার্বিক পরমাণু অস্ত্র প্রসাররোধ চুক্তি (কম্প্রিহেনসিভ নিউক্লিয়ার টেস্ট ব্যান ট্রিটি বা সিটিবিটি)-তে সই না করলেও ভারতের পক্ষে পর্যবেক্ষক (অবজার্ভার) দেশ হয়ে কম্প্রিহেনসিভ টেস্ট ব্যান ট্রিটি অর্গানাইজ়েশন (সিটিবিটিও)-এ যোগ দেওয়া কি সম্ভব নয়— প্রশ্ন সংগঠনের এগ্‌জিকিউটিভ সেক্রেটারি লাসিনা জ়ার্বোর। প্রায় অনুনয়ের সুরে তিনি বলেন, ‘‘আমি জানি, এই মুহূর্তে ভারতের পক্ষে এর থেকে বেশি কিছু করা সম্ভব নয়। কিন্তু পর্যবেক্ষক দেশ হয়ে যোগ দেওয়াটা তো একটা ভাল সূচনাবিন্দু হতে পারে।’’

ভিয়েনায় সিটিবিটিও-র দফতরে বসে যখন ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন জ়ার্বো, বুঝতে অসুবিধে হচ্ছিল না কত নিপুণ কূটনীতিক এবং সুবক্তা তিনি। বার বার জোর দিচ্ছিলেন, এই সংগঠনের খোলামেলা তথ্য আদানপ্রদানের সুযোগসুবিধার দিকটির উপর। তাঁর মতে, এই সব সুবিধা সাম্প্রতিক কালে অনেক বেড়েছে। সিটিবিটি এবং ইন্টারন্যাশনাল মনিটরিং সিস্টেম (আইএমএস)-এর কাজকর্ম আগের থেকে অনেকটা পাল্টেছে। গোপনীয়তার (কনফিডেনশিয়ালিটি) উপর জোর আগের চেয়ে কমেছে। ২০১৬ সালে তৈরি হয়েছে ‘সিটিবিটিও ইউথ গ্রুপ’, সেখানে অল্পবয়সি ছেলেমেয়েরা পরমাণু অস্ত্র-নিরোধক ভাবনাচিন্তার পাশাপাশি পরমাণু শক্তির সুফলদায়ী কাজকর্মে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরে সুনামির পরে সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টারগুলিতে সিটিবিটিও বিশেষ ভূমিকা পালন করছে জ়ার্বোর উদ্যোগে। রেডিয়ো-আইসোটোপের সাহায্যে ভূমিকম্প ‘মনিটরিং’ সম্ভব হচ্ছে আজকাল। কিন্তু ভারত সিটিবিটিও-তে কোনও ভাবেই যোগ দিচ্ছে না বলে এই সব তথ্যের হদিশই পাচ্ছে না।

জ়ার্বোর বক্তব্য, পর্যবেক্ষক হিসেবে ভারত সিটিবিটিও-র বৈঠকগুলিতে যোগ দিলে এই সব খোঁজখবর রাখার সুযোগ হবে, জানার সুযোগ হবে কী ভাবে ৮৯টি দেশের ৩২১টি মনিটরিং স্টেশন কাজ করে, কী ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে এবং তার থেকে কী কী সুবিধা লাভ করা সম্ভব।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

স্বাভাবিক ভাবেই ওঠে চিনের কথা। শি চিনফিংয়ের দেশ এখন এই গোষ্ঠীর বহুবিধ কাজের সঙ্গে যুক্ত। গত বছর পর্যন্ত হিসেব, পাঁচটি আইএমএস সেন্টার চিনে কাজ করছে। জ়ার্বো বললেন, তাঁরা চান, চিন এই ক্ষেত্রে নেতৃসুলভ ভূমিকা পালন করুক। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ এশিয়ায় যে দু’টি দেশ সিটিবিটি-তে সই করেনি তারা হল ভারত ও পাকিস্তান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

CTBTO India ভারত
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE