পুজোর প্রস্তুতি। টরন্টোর একটি পুজোয়। নিজস্ব চিত্র
‘প্রবাস’। ছোট্ট একটা কথা।
কিন্তু আমাদের মতো প্রবাসীদের জীবনে এর প্রভাব অনেক গভীর। কিছু ‘পাওয়া’র মাঝখানে অনেক কিছু না পাওয়ার মিশেল এই ‘প্রবাস’। সে রকমই এক ‘না-পাওয়া’কেই ‘পাওয়া’তে রূপান্তরিত করতে আমাদের দুর্গাপুজোর শুরু।
টরন্টোতে যখন সবে সবে চারদিকে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে, সঙ্গে যখন-তখন ঝিরঝিরে অথবা অঝোর ধারায় বৃষ্টি, এখানকার বাঙালিরা তখন সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে দুর্গাপুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন। এ প্রান্ত থেকে সে প্রান্ত ছুটে বেড়ান শুধু একটু বাঙালিয়ানার স্বাদ পাবেন বলে। অন্তত পুজোর কটা দিন ষোলোআনা বাঙালি হয়ে উদ্যাপন করবেন বলে। সেই সব কিছুর স্বাদ
নির্ভেজাল ভাবে খুঁজে পাওয়া যায় এখানকার বিভিন্ন পুজোতে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘টরন্টো কালীবাড়ি’, ‘ভারত সেবাশ্রম’, ‘বেদান্ত’, ‘প্রবাসী’, ‘বং পরিবার’, ‘আমার পুজো টরোন্টো’ ইত্যাদি। কলকাতার পাড়ার পুজোর পরিবেশ খুঁজে পেতে একবার ঘুরে যেতেই হবে এই সব পুজো মণ্ডপে। সকাল বেলার জলখাবারের লুচি-আলুরদম থেকে মধ্যরাতে প্রতিমার সামনে চেয়ার পেতে গোল করে বসে ‘পরনিন্দা-পরচর্চা’— সব কিছুই এখানে খু-উ-উ-ব যত্ন সহকারে হয়ে থাকে । কলকাতার পুজো দেখতে না পেয়ে প্রথম প্রথম যে সব প্রবাসীর মন খারাপ করত, তাঁরাও ঠান্ডা কনকনে ‘শরৎ’-এর এই অকালবোধনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আন্তরিকতা ও সাবেকিয়ানার মিশেলে সাজানো এখানকার পুজোগুলোয় আমাদের মতো প্রবাসীরা এতটাই মশগুল হয়ে পড়েন যে, পুজোর মাসটা টরন্টো ছেড়ে আর কোথাও যেতে-ই পারেন না তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy