দুর্ঘটনার এক দিন বাদে উদ্ধার হল মার্কিন যুদ্ধজাহাজ থেকে নিখোঁজ সাত নৌসেনার দেহ।
শুক্রবার গভীর রাতে জাপানের উপকূলে আমেরিকার যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস ফিটজেরাল্ডের সঙ্গে ফিলিপিন্সের পতাকা লাগানো মালবাহী জাহাজ এসিএক্স ক্রিস্টালের সংঘর্ষে নিখোঁজ হয়ে যান সাত মার্কিন নৌসেনা। সেনা সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার পরে জল ঢুকে পড়ে ফিটজেরাল্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কেবিনগুলিতে। সেখানেই ঘুমোচ্ছিলেন ওই সাত নৌসেনা। রবিবার সকালে তল্লাশি চলাকালীন উদ্ধার হয় তাঁদের দেহ।
জাপানের উপকূল-শহর ইয়োকোসুকার ৫৬ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তখন নাগোয়া থেকে টোকিও যাচ্ছিল এসিএক্স ক্রিস্টাল। দুর্ঘটনার মিনিট পঁচিশ আগে হঠাৎই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায় সেটি। সেই সময় আকাশ পরিষ্কার ছিল বলেই জানা গিয়েছে। ফলে হঠাৎ কেন দিক বদল করে পণ্যবাহী জাহাজটি, তা স্পষ্ট নয়। সেনার একাংশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনাটি গভীর রাতে হওয়ায় সম্ভবত টেরই পাননি ঘুমন্ত ওই নৌসেনারা।
এসিএক্স ক্রিস্টাল ইউএসএস ফিটজেরাল্ডের তুলনায় চার গুণ ভারী। তার উপর দুর্ঘটনার সময় মালপত্রে ঠাসা ছিল এটি। সংঘর্ষে যুদ্ধজাহাজটির এক পাশের অংশে (স্টারবোর্ড) ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেখান দিয়ে হুড়হুড় করে জল ঢুকে পড়ে ভিতরে। ভেসে যায় দুটি কেবিন ও একটি যন্ত্রপাতির ঘর। সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায় ক্যাপ্টেনের কেবিনটিও। কোনওক্রমে রক্ষা পান ক্যাপ্টেন। এক সেনা কর্তার কথায়, ‘‘বড়সড় ক্ষতি হয়েছে রণতরীটির। আরও বেশি সংখ্যক সেনার প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল।’’
বিশ্বের সর্বাধুনিক যুদ্ধজাহাজগুলির অন্যতম ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী ফিটজেরাল্ড রণতরীটি কেন এই দুর্ঘটনা এড়াতে পারল না তা তদন্ত করে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। সর্বোপরি, উন্নত নেভিগেশন ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কেন বিপদের আঁচ পায়নি ফিটজেরাল্ড তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সেনা জানিয়েছে, যুদ্ধজাহাজটির একাংশ যে ভাবে গুড়িয়ে গিয়েছে তা একেবারেই অস্বাভাবিক। এর ফলে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল মার্কিন রণতরীটির। কর্মীদের চেষ্টায় সেটিকে ইয়োকোসুকার নৌঘাঁটিতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy