তালিবান হামলার পর। ছবি: পিটিআই।
কাবুলে গাড়িবোমা বিস্ফোরণের দায় নিল তালিবান। গত কালের ওই হামলায় নিহত ৪ জনের মধ্যে এক ভারতীয় রয়েছেন বলে আজ জানিয়েছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। এই হামলার ফলে আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে গেল বলে মনে করছেন কূটনীতিকেরা।
কাল কাবুলের সুরক্ষিত ‘গ্রিন ভিলেজ’ এলাকায় গাড়িবোমা বিস্ফোরণ হয়। নিহত হন ৪ জন। আহত অন্তত ১০০। আহতদের মধ্যে ১০টি শিশুও রয়েছে। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই স্থানীয় বাসিন্দা। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে এক ভারতীয় আছেন। তাঁর দেহ দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নিহতের পরিচয় জানায়নি দিল্লি।
আজ তালিবান মুখপাত্র জ়বিউল্লা মুজাহিদ দাবি করেন, চার তালিবান জঙ্গি ওই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। সম্প্রতি তালিবান-বিরোধী লড়াইয়ের নেতা ও প্রাক্তন গুপ্তচর কর্তা আমরুল্লা সালেকে অভ্যন্তরীণ মন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি। জ়বিউল্লার দাবি, তার বদলা নিতেই এই হামলা। আরও হামলার জন্য তৈরি হচ্ছে তালিবান।
আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানোর পরিকল্পনা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ফলে তালিবানের সঙ্গে শান্তিপ্রক্রিয়া দ্রুত
শেষ করতে চান তিনি। এই বিষয়ে ভারত, পাকিস্তানের সাহায্যও চান ট্রাম্প। সম্প্রতি আবু ধাবিতে তালিবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মার্কিন প্রতিনিধিরা। বিষয়টি নিয়ে ভারত, চিন ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পরে এ দিন আফগানিস্তানে এসেছেন বিশেষ মার্কিন দূত জ়ালমে খলিলজ়াদ। কিন্তু তালিবান এখনও পর্যন্ত গনি সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বিশেষ আগ্রহ দেখায়নি। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের কর্তাদের দাবি, তালিবানের সঙ্গে এখনও গভীর যোগ রয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ও সেনার একাংশের। তালিবানকে গোপনে মদত দিয়ে ফের আফগানিস্তানে প্রভাব বিস্তার করতে চায় পাক সেনা। তাই মার্কিন
চাপে শান্তি প্রক্রিয়ায় যোগ দিলেও তালিবানকে ব্যবহার করে পাকিস্তান আফগানিস্তানে প্রভাব বিস্তারের কৌশলও চালিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন সেনা সরানোর পরিকল্পনা প্রকাশিত হওয়ার পরে এই বিষয়ে পাকিস্তান আরও বেশি উদ্যোগী হয়েছে বলে মত দিল্লির। ফলে আফগান শান্তি প্রক্রিয়া কতটা সফল হবে, সন্দিহান সাউথ ব্লক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy