ছবি: রয়টার্স।
ফাঁকা চত্বরে সহজদাহ্য পদার্থ দিয়ে তাঁবু বানিয়ে সেখানে করোনা-রোগীদের ইউনিট তৈরি করেছিলেন ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার রাতে সেখানে আগুন লেগে মারা গিয়েছেন ৫ জন।
গুলশানের নামী বেসরকারি হাসপাতালটির অগ্নিকাণ্ডের কারণ খুঁজতে সরকার যে বিশেষজ্ঞ দল তৈরি করেছে, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্মিত। কারণ অগ্নিসুরক্ষার সাধারণ ব্যবস্থাটুকুও দেখতে পাননি তাঁরা। আইন বাঁচাতে হাইড্র্যান্ট রয়েছে। কিন্তু তা কী ভাবে ব্যবহার করতে হয়, কর্মীদের তা অজানা ছিল। খবর পাওয়ার পরে দমকল বাহিনী পৌঁছে হাইড্র্যান্ট খোলে। তত ক্ষণে আগুন ও ধোঁয়া ছড়িয়ে রোগীরা মারা গিয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মৃতদের তিন জনের করোনা-সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। অন্য দু’জনের সংক্রমণের উপসর্গ ছিল।
বৃহস্পতিবার বিশেষজ্ঞ দলটি হাসাপাতালে গিয়ে জানতে পারে, অগ্নিসুরক্ষার দায়িত্বে এক জন অফিসার থাকলেও তিনি সব সময়ে থাকেন না। বুধবার আগুন লাগার সময়েও ওই অফিসার ছিলেন না। আগুন নেভানোর জন্য হাসপাতালের নানা জায়গায় ১১টি অগ্নিনির্বাপন যন্ত্রের সিলিন্ডার রাখা হলেও, তার ৮টিই মেয়াদ ফুরনো। পার্টিকল বোর্ড ও প্লাস্টিকের মতো দাহ্য সরঞ্জাম দিয়ে তৈরি তাঁবুতে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তাঁবুতে যে-সব বাতানুকূল যন্ত্র বসানো হয়েছিল, সেগুলিও খারাপ মানের বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। তা থেকে আগুন লাগতে পারে, আশঙ্কা তাঁদের। ঢাকায় বড়সড় অগ্নিকাণ্ড হামেশাই ঘটে। সেখানে নামী হাসপাতালের এত গাফিলতিতে অবাক প্রতিনিধিরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy