বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।- ফাইল চিত্র।
ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে চিন নাক গলাক, দিল্লি এটা চায় না। ভারতে চিনা রাষ্ট্রদূত লুও শাওহুই এ ব্যাপারে গতকাল যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, বিদেশ মন্ত্রক মঙ্গলবার তা খারিজ করে দিয়েছে।
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘এ ব্যাপারে চিনা রাষ্ট্রদূতের যে মন্তব্য প্রকাশিত হয়েছে, তা আমাদের নজরে এসেছে। চিনা সরকারের তরফে এমন কোনও প্রস্তাব আমরা এখনও পাইনি। বিষয়টিকে আমরা চিনা রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত মন্তব্য বলেই ধরে নিচ্ছি।’’
গতকাল দিল্লিতে ভারত-চিন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি সেমিনারে চিনা রাষ্ট্রদূত লুও শাওহুই বলেন, ‘‘যে ভাবে মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সমস্যা মেটাতে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে চিনের ভূমিকা ছিল, আমার কয়েক জন ভারতীয় বন্ধু চান, ঠিক সেই ভাবেই ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক সহজতর করতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে পারে চিন।’’
আরও পড়ুন- ভারত-পাকিস্তানকে সঙ্গে নিয়ে বসতে চাইল চিন
আরও পড়ুন- মহাকাশে দখলদারির প্রস্তুতি, ‘স্পেস ফোর্স’ গঠনের নির্দেশ ট্রাম্পের
গত এপ্রিলে উহানে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বৈঠকের এক ফাঁকে আলাদা ভাবে বৈঠকে বসেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই চিনা প্রেসিডেন্ট বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ককে সহজতর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে এসসিও।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ককে সহজতর করতে বেজিংয়ের এত আগ্রহী হয়ে ওঠার কারণ চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি)। ওই করিডর ভারতের একটি অংশের (যা বিতর্কিতও বটে) মধ্যে দিয়ে যাবে বলে দিল্লি ওই করিডরের বিরোধিতা করে চলেছে দীর্ঘ দিন ধরে। দিল্লির বক্তব্য, ‘‘ওই করিডর ভারতের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করছে।’’ বেজিং চাইছে, ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ককে সহজতর করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে ওই করিডরের ওপর থেকে দিল্লির বাধা সরিয়ে দিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy