কাল সিঙ্গাপুরের মহাবৈঠকটির দিকে একাগ্রচিত্তে তাকিয়ে রয়েছে গোটা দুনিয়া। রুদ্ধশ্বাস ভারতও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের বৈঠকটিতে শেষ পর্যন্ত কী হয় তার সঙ্গে সাউথ ব্লকের স্বার্থও জড়িয়ে রয়েছে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
নয়াদিল্লির অভিযোগ, গত দেড় দশক ধরে পাকিস্তানের পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত কর্মসূচিকে ধারাবাহিক ভাবে সাহায্য করে চলেছে উত্তর কোরিয়া। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই কিছুটা গোপনে এই অক্ষ ভাঙার জন্য চেষ্টা করে চলেছে নয়াদিল্লিও। শুধুমাত্র চাপ বাড়িয়ে নয়, সময়ে সময়ে পিয়ংইয়্যাংকে সহায়তা এবং উপঢৌকন দেওয়ারও কৌশল নিয়েছে ভারত। মনমোহন সরকারের সময়ে বারবার দূত পাঠানো হয়েছে। খাদ্যসমস্যা এবং গ্রামীণ অঞ্চলের ধসে যাওয়া পরিকাঠামো উন্নয়নে বারবার মোটা অঙ্কের আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। বারবার মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে ১৯৯১ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জে উত্তর কোরিয়ার অন্তর্ভুক্তির পিছনে ভারতের বড় ভূমিকা ছিল।
আরও পড়ুন: ‘চৈত্র সেলের’ সিঙ্গাপুরে কি দর কষাকষি!
এ সবে কোনও কাজ হয়নি। গত কয়েক বছরে একাধিকবার উত্তর কোরিয়া এবং পাকিস্তানের পরমাণু সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ভারত। কাল পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে শেষ পর্যন্ত যদি রাজি হন কিম, তা হলে কৌশলগত ভাবে নয়াদিল্লিরও লাভ বলেই মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy