ইরানের চাবাহার বন্দর। ফাইল চিত্র।
সোমবারই ইরানের ওপর সাম্প্রতিক কালের মধ্যে সবথেকে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করেছে আমেরিকা। ইরান থেকে তেল নিলে সেই দেশ বা সংস্থাকে এখন থেকে সামলাতে হবে মার্কিন রক্তচক্ষু। ইরানের বিভিন্ন ব্যাঙ্কিং ও জ্বালানি সংস্থাকে আর্থিক ভাবে কোণঠাসা করাই এখন মার্কিন উদ্দেশ্য। অন্যদিকে ওমান উপসাগরে চাবাহার বন্দর তৈরিতে শুরু থেকেই কাজ করছিল ভারত। তাই এই বন্দরে ভারতের কর্মকাণ্ডে কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে শুরু হয়েছিল অনিশ্চয়তা। শেষ পর্যন্ত এই বন্দরে কাজ চালিয়ে যেতে পারবে ভারত, সোমবার এই আশ্বাস দিল আমেরিকা।
ইরান থেকে তেল আমদানি নিয়েও তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। শেষ পর্যন্ত ভারতকে তেল আমদানিতে ছাড়পত্র দেয় আমেরিকা। একই সঙ্গে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল ইরানের উপকূলে ওমান উপসাগরে চাবাহার বন্দর নিয়ে। এই বন্দর তৈরিতে ২০১৬ থেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে ভারত। এই বন্দর তৈরি হলে পাকিস্তানের স্থলপথ ও জলপথ ব্যবহার না করেই সরাসরি যুক্ত হয়ে যাবে ভারত ও আফগানিস্তান। তাই ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় চাবাহার বন্দরের কাজ ঘিরে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। শেষ পর্যন্ত সোমবার মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হল, ‘‘বিদেশ সচিব চাবাহার বন্দরে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যেতে ছাড়পত্র দিয়েছেন। আফগানিস্তানের উন্নতির জন্য এই বন্দর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া এই বন্দর থেকে পণ্য পরিবহণের জন্য রেলপথ তৈরির কাজও চলবে আগের মতই। ’’
২০১৬ সালে চাবাহার বন্দর তৈরিতে চুক্তিবদ্ধ হয় ভারত, ইরান ও আফগানিস্তান। তিনটি দেশের মধ্যে নিষ্কণ্টক পণ্য পরিবহণই ছিল এই চুক্তির উদ্দেশ্য। এই মুহূর্তে আফগানিস্তানে উন্নয়নের কাজে জড়িত বেশ কিছু ভারতীয় সংস্থা। তাই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ঘিরে ভারতের উদ্বেগ ছিল স্বাভাবিক। শেষ পর্যন্ত অবশ্য কাটল মেঘ। চাবাহার বন্দরে কাজ এগোবে তার নিজস্ব গতিতেই।
আরও পড়ুন: ভারতের প্রতিবাদ কানেই তুলল না চিন-পাকিস্তান, পিওকে দিয়ে শুরু লাহৌর-কাশগড় বাস পরিষেবা
আরও পড়ুন: খাল কেটে ড্রাগন! আন্দামান সাগরে দ্রুত পৌঁছতে নতুন পথের পরিকল্পনায় চিন
(আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক চুক্তি, আন্তর্জাতিক বিরোধ, আন্তর্জাতিক সংঘর্ষ- সব গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy