চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ন। ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া।
অনুপ্রবেশের অভিযোগ খারিজ করে গলওয়ানে সংঘর্ষের দায় ভারতীয় সেনার ঘাড়ে চাপাল চিন। পাশাপাশি, পুরো গলওয়ান উপত্যকাকে ‘চিনের ভূখণ্ড’ বলে দাবি করেছেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘গলওয়ানের সার্বভৌমত্ব বরাবরই চিনের হাতে। ভারতীয় সেনা সীমান্ত সংক্রান্ত প্রোটোকল গুরুতর ভাবে লঙ্ঘন করেছে এবং দ্বিপাক্ষিক কম্যান্ডার স্তরের বৈঠকে সর্বসম্মত ভাবে গৃহীত সিদ্ধান্ত মানেনি।’’ তবে চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিন আর সংঘর্ষ চায় না বলে দাবি করে তিনি জানিয়েছেন, সমস্যা সমাধানে দু’তরফের কূটনৈতিক ও সেনা স্তরে আলোচনা চলছে। পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, ‘‘ঠিক এবং ভুল এখানে পুরোপুরি স্পষ্ট। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার এপারে চিনের ভূখণ্ডেই ঘটনাটি (সংঘর্ষের) ঘটেছে। চিনকে এজন্য দোষ দেওয়া যায় না।’’
এলএসি’তে উত্তেজনা কমাতে কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা জারি থাকার কথা বললেও নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি দিতে ছাড়েননি ঝাও। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমরা ভারতকে বলেছি অবিলম্বে সীমান্তে মোতায়েন তাদের বাহিনীকে অনুপ্রবেশ ও প্ররোচনামূলক আচরণ থেকে বিরত থাকার জন্য কড়া নির্দেশ দিতে। সঠিক অবস্থানে ফেরা এবং সমস্যার সমাধানের জন্য চিনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যৌথ পদক্ষেপ করতে।’’ নতুন করে রক্তপাতে বেজিংয়ের সায় নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভারত শান্তি চায়, কিন্তু প্ররোচনা এলে জবাব দিতেও তৈরি: প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন: গলওয়ান থেকে শিক্ষা, চিন সীমান্তে রণকৌশল বদলাচ্ছে সেনা
চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপত্রের এদিনের মন্তব্যের জেরে লাদাখ সীমান্তের জট আরও জটিল হল বলেই কূটনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা। কারণ, এলএসি চিহ্নিত করা এবং সেনা অবস্থান নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক চলাকালীন পুরো গলওয়ান অঞ্চলকে চিনের ভূখণ্ড বলে প্রকাশ্যে দাবি করে ঝাও আলোচনার পথ কিছুটা কঠিন করে দিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy