উপস্থাপিকা জেনিন পিরো-র প্রতি হঠাৎ সহৃদয় ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন চ্যানেলের ‘জনপ্রিয়’ উপস্থাপিকা তাঁর চেনা সময়ের অনুষ্ঠানে হাজির হননি। শনিবার রাতে তাঁকে দেখতে না পেয়ে গোঁসা হয়েছে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্টের। কিন্তু সেই উপস্থাপিকা, জেনিন পিরো-র প্রতি হঠাৎ এতটা সহৃদয় কেন ডোনাল্ড ট্রাম্প?
বিশেষত চ্যানেলটি যখন তাঁর প্রিয় তালিকাতেই নেই?
গত সপ্তাহ থেকে ওই বিশেষ উপস্থাপিকার অনুষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় চ্যানেলটি। কিছু দিন আগে জেনিন পিরো ডেমোক্র্যাট সদস্য ইলান ওমর সম্পর্কে ওই চ্যানেলে বলেছিলেন, ‘‘ইলান মার্কিন সংবিধান মানেন না, কারণ তিনি মুসলিম এবং হিজাব পরেন।’’ এই মন্তব্য নিয়ে আপত্তির ঝড় ওঠে। একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট রবিবার সকালের টুইটে পিরো-কে ফেরানোর দাবিতে লেখেন, ‘‘সব সময়ে এত মেপেজুপে কথা বলার জন্য এত পরিশ্রম করেন কেন আপনারা? শক্ত ধাতের হোন, উন্নতি হবে। দুর্বল হলে মরবেন!’’
শুধু পিরো নন, ওই চ্যানেলে তাঁর সহকর্মী উপস্থাপক টাকার কার্লসনের বিরুদ্ধেও তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন দর্শকরা। তিনিও বর্ণবিদ্বেষমূলক, নারীবিদ্বেষী এবং সমকাম-বিরোধী মন্তব্য করার অভিযোগে সমালোচনার মুখে পড়েন। অনেক বিজ্ঞাপন সংস্থা ওই অনুষ্ঠানটি থেকে নিজেদের বিজ্ঞাপনও সরিয়ে নিয়েছেন। কার্লসনকে অবশ্য চ্যানেলে এখনও দেখা যাচ্ছে। জনপ্রিয়তার নিরিখে ওই চ্যানেলের শীর্ষে ছিলেন পিরো। কিন্তু তাঁর মুসলিম-বিরোধী অবস্থান বরাবরই ছিল। শেষ শোয়ে তিনি ইলান ওমরকে আক্রমণের লক্ষ্য হিসেবে বেছে নেন। পিরো পরে বলেন, তিনি ইলানকে ‘অ-মার্কিন’ বলতে চাননি। তিনি শুধু প্রশ্ন তুলে একটা বিতর্ক শুরু করতে চেয়েছিলেন। পিরো এই সূত্রে বলেন, ‘‘কেউ মুসলিম বলে আমাদের সংবিধান মানবেন না, তা তো হতে পারে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy