ছবি: এএফপি।
মাত্র চব্বিশ ঘণ্টা আগেই কিম জং উনকে চিঠি লিখে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আসন্ন বৈঠক বাতিলের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। আজ ফের উল্টো সুর শোনা গেল ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখে। জানালেন, ফের বিষয়টি নিয়ে শুরু করেছেন তিনি। তাঁর আরও ইঙ্গিত, পরিস্থিতি সে রকম হলে কিমের সঙ্গে বৈঠকে বসতেও পারেন তিনি।
ট্রাম্প এ প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘দেখা যাক কী হয়। আমরা এখন ওদের (উত্তর কোরিয়া সরকার) সঙ্গে কথা বলছি। ওরা খুব চায় বৈঠকটা হোক। আমরাও তাই চাই।’’
গত কাল ট্রাম্প বৈঠক বাতিল করার পরেও মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক টেবিলে বসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম। সে দেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা তেমনটাই জানিয়েছিল। উত্তর কোরিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের শীর্ষ স্থানীয় কর্তা কিম কে গোয়ান সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছিলেন, গোটা বিশ্বের শান্তির স্বার্থে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহী তাঁদের নেতা কিম। যে কোনও সময়ে, যে কোনও ভাবে। গোয়ানের কথায়, ‘‘আচমকা এই বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত আমাদের কাছে খুবই অপ্রত্যাশিত। দুঃখজনকও বটে। আমরা এখনও চাই আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বসতে।’’ তিনি বৈঠক বাতিল করার পরেও পিয়ংইয়্যাং যে আমেরিকার সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী, সে খবরও কানে গিয়েছে মার্কিন প্রেসি়ডেন্টের। বলেছেন, ‘‘ওরা যে এখনও আলোচনায় বসতে চাইছে, এটা খুবই ভাল খবর।’’
এই চাপানউতোরের মধ্যে আজই আবার মুখ খুলেছে চিন। কিমের যুদ্ধং দেহি মনোভাবের জন্য তিনি বৈঠক বাতিল করছেন বলে কাল চিঠিতে লিখেছিলেন ট্রাম্প। দিন তিনেক আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আমেরিকা নিয়ে হয়তো কিমকে ভুল বোঝাচ্ছে বেজিং। আজ ট্রাম্পের অভিযোগ উড়িয়ে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে চিন সব সময় সদর্থক ভূমিকা নিয়ে এসেছে। আমাদের সেই ভূমিকা অপরিবর্তিতই রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy