মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ডে ট্রাম্প।
ইতিহাসে নাম উঠে যাওয়ার পরে সুর নরম করা তো দূরের কথা, উল্টে উল্টো চাপ দিতে শুরু করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন ইতিহাসে তিনিই তৃতীয় প্রেসিডেন্ট যাঁকে ইমপিচ করেছে মার্কিন কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভস। কিন্তু বুধবার সেই ঘোষণার পরের দিনই ট্রাম্প তাঁর দলীয় সতীর্থদের উপর চাপ দিলেন, যাতে সেনেটে ইমপিচমেন্ট মামলা দ্রুত শেষ করা হয়। হাউসের সিদ্ধান্তের পরে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়ার পরে ধাপ— মামলা যাবে সেনেটে। এই সেনেট রিপাবলিকানদের দখলে। ফলে ডেমোক্র্যাট অধ্যুষিত হাউসে ইমপিচমেন্ট নিয়ে ভোটাভুটির যে ফল হয়েছিল, তা সেনেটে হবে না বলেই অনুমান বিশ্লেষকদের। সেটা ভাল করে জানেন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যরাও। ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব হাউস থেকে কবে সেনেটে পাঠানো হবে কি না, তা নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি হাউসের স্পিকার তথা ডেমোক্র্যাট নেত্রী ন্যান্সি পেলোসি। হাউস ডেমোক্র্যাটেরা বলছেন, সেনেটে ইমপিচমেন্ট মামলা ঠিক পথে চালিত হবে, সেই আশ্বাস তাঁরা যত ক্ষণ না পাচ্ছেন, তত ক্ষণ সেনেটে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাঠানো হবে না।
আর সেই সুযোগটাই নিয়েছেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার তিনি টুইট করেন, ‘‘অনেক হয়েছে। যে দল কিছুই করে উঠতে পারে না, তারা ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবও সেনেটে পাঠিয়ে উঠতে পারল না। আমি চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মামলা শেষ হোক। হাউসের আরও অনেক কাজ আছে।’’ সেনেটের রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেলও বলেন, ‘‘হাউসের এই গড়িমসি বুঝিয়ে দিচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই ডেমোক্র্যাটেরা ঠিক করে ফেলেছিলেন যে, তাঁকে ইমপিচ করা হবে। গত তিন বছর ধরে তাঁরা ইমপিচমেন্ট করার জন্য প্রস্তাব খুঁজছিলেন। এত দিনে পেয়ে তার পরে কী করবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না।’’
হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, সেনেটে ইমপিচমেন্ট মামলায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হয়ে লড়বেন ৫৩ বছর বয়সি রিপাবলিকান আইনজীবী প্যাট কিপোলোন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy