ট্রাম্প-বিরোধী মিছিল পিটসর্বাগে। ছবি: রয়টার্স।
শহরটায় তিনি স্বাগত নন। প্রতিবাদও হবে, জানতেন। সে সব উপেক্ষা করেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পিটসবার্গ গিয়ে বন্দুকবাজের হামলায় নিহত ইহুদিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন।
আমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও ট্রাম্পকে সঙ্গ দিতে যাননি তাঁর প্রশাসনের বেশ কয়েক জন গুরুত্বপূর্ণ মুখ। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছিলেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া। প্রশাসনের ইহুদি প্রতিনিধি হিসেবে ট্রাম্প সঙ্গে করে নিতে ভোলেননি কন্যা ইভাঙ্কার স্বামী জ্যারেড কুশনারকে। ইভাঙ্কাও এসেছিলেন বাবা-মায়ের সঙ্গে। পিটসবার্গের ‘ট্রি অব লাইফ’ সিনাগগের বাইরে ১১ জনের স্মৃতিতে রাখা হয়েছিল ক্রস চিহ্নের উপরে ১১টি তারা। সেখানে ইহুদিদের প্রথা মেনে হোয়াইট হাউস থেকে আনা পাথর বিছিয়ে দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ট্রাম্প। হাউস স্পিকার পল রায়ান, সংখ্যালঘু নেত্রী ন্যান্সি পেলোসির মতো কয়েক জনকে ট্রাম্পের সঙ্গে যোগদান করতে বলা হলেও তাঁরা অন্য কাজ আছে বলে এড়িয়ে যান।
প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানানোর জন্য সেখানে ছিলেন শুধু রাব্বি জেফ্রি মায়ার্স ও আমেরিকায় ইজরায়েলি দূত রন ডারমার। ট্রাম্প সিনাগগে প্রবেশপথে মোমবাতি জ্বালেন। মার্কিন ইতিহাসে ইহুদিদের উপরে এত নৃশংস হামলা আগে কখনও দেখা যায়নি বলে দাবি করা হলেও সিনাগগের ভিতরে ঘটনাস্থলে ঢোকেননি প্রেসিডেন্ট। তিন ঘণ্টা সেখানে কাটালেও প্রকাশ্যে মন্তব্য করেননি। তাঁর মুখ থেকে শুধু শোনা যায়, ‘‘দুঃখজনক, খুবই দুঃখজনক। যা হয়েছে, আশা করি আমরা তার থেকে শিক্ষা নেব।’’ ট্রাম্প যখন শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন, অদূরেই ইহুদি-সহ কয়েক হাজার মানুষ ট্রাম্প-বিরোধী মিছিলে স্লোগান দিয়েছেন— ‘আমরা সেতু তৈরি করি, দেওয়াল নয়।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy