Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

হোয়াইট হাউসে আমি একা! বড়দিনে ট্রাম্প

আলোর ঝিলমিল নেই। টয়ট্রেনের কু ঝিকঝিক নেই। বড়দিনের আনন্দের প্রতীক ‘ন্যাশনাল ক্রিসমাস ট্রি’ যেন থমকে যাওয়া সরকারের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে। আর সব কিছুর মধ্যে তিনি একা! টুইটে মার্কিন প্রেসিডেন্টের তেমনটাই দাবি। 

কর্মব্যস্ত: বড়দিন উপলক্ষে হোয়াইট হাউস থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিশুদের সঙ্গে কথা বলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া। এএফপি

কর্মব্যস্ত: বড়দিন উপলক্ষে হোয়াইট হাউস থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিশুদের সঙ্গে কথা বলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া। এএফপি

সংবাদ সংস্থা  
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:২৩
Share: Save:

আলোর ঝিলমিল নেই। টয়ট্রেনের কু ঝিকঝিক নেই। বড়দিনের আনন্দের প্রতীক ‘ন্যাশনাল ক্রিসমাস ট্রি’ যেন থমকে যাওয়া সরকারের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে। আর সব কিছুর মধ্যে তিনি একা! টুইটে মার্কিন প্রেসিডেন্টের তেমনটাই দাবি।

বড়দিনটা হোয়াইট হাউসে থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সমালোচকদের তুলোধোনা করেই কাটালেন। ফ্লরি়ডার মার-আ-লাগো রিসর্ট রইল পড়ে। সোমবারই জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রতিবারের মতো এ বার আর সেখানে নয়, বড়দিন কাটবে হোয়াইট হাউসে, ডেমোক্র্যাটদের জন্য অপেক্ষা করে। কবে তারা এলে মীমাংসার মাধ্যমে সরকারে ‘শাট ডাউন’ ওঠে— ভাবছেন ট্রাম্প। আর টুইটে লিখছেন, ‘‘হোয়াইট হাউসে আমি একেবারে একা (বেচারা)। ডেমোক্র্যাটদের জন্য অপেক্ষা করছি। যদি ওরা সীমান্ত সুরক্ষার বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সমস্যাটা মিটিয়ে নেয়।’’

আমেরিকার দক্ষিণ প্রান্তে মেক্সিকো সীমান্ত বরাবর প্রাচীর তুলতে বদ্ধপরিকর ট্রাম্প। তার জন্য সরকারের কাছ থেকে ৫৭০ কোটি ডলার চেয়েছেন তিনি। কিন্তু ডেমোক্র্যাটরা প্রাচীর তুলতে দিতে নারাজ। আর এই নিয়েই বিরোধের জেরে শাট ডাউন আজ পড়ল তৃতীয় দিনে। কিন্তু সে অচলাবস্থা কাটার কোনও লক্ষণ নেই। ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে বসে বসে একের পর এক টুইট আর ছবি পোস্ট করে চলেছেন। বোঝাতে চাইছেন, উৎসবের মরসুমে সব ভুলে তিনি কাজ করে চলেছেন আর বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা ছুটি উপভোগ করছেন। সোমবার সংবাদমাধ্যমের সামনে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘শাট ডাউন নতুন নয়। আমাদের সীমান্তে সুরক্ষা চাই।’’

আর টুইটও করেছেন, ‘‘ডেমোক্র্যাটরা চুক্তি না করে যে বিপুল খরচের বোঝা দেশের উপরে চাপাচ্ছে, সেটা সীমান্তে প্রাচীর তোলার খরচের চেয়েও বেশি!’’ এর কয়েক ঘণ্টা পরেই ফের সরব প্রেসিডেন্ট, লিখে বসলেন, ‘‘আমি ওভাল অফিসে। এইমাত্র টেক্সাসে ওই প্রাচীরের ১৮৫ কিলোমিটার লম্বা অংশের কনট্র্যাক্ট দিয়ে এলাম। প্রাচীরের বেশ কিছু অংশ এ ভাবে আমরা তৈরি করছি, সারাই করছি। কোথাও কোথাও কাজ শেষ। ডেমোক্র্যাটরা শাট ডাউন তুলে নিন। কয়েক কোটি প্রাণ ও ডলার বাঁচবে।’’ এর পরে উত্তর কোরিয়া নিয়েও শীর্ষ স্তরের অফিসারদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ট্রাম্প এবং পোস্ট করেছেন ছবি। ‘‘বড়দিনে উত্তর কোরিয়া নিয়ে আমার টিমের সঙ্গে কাজ চলছে। চেয়ারম্যান কিমের সঙ্গে পরবর্তী বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছি।’’

সারা দিন এত সব কাজ সেরে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন প্রান্তের শিশুদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট। মেলানিয়া পারিবারিক ছুটি কাটিয়ে ফ্লরিডা থেকে ফিরেছেন সোমবার। কোলম্যান নামে এক খুদেকে ট্রাম্পের প্রশ্ন, ‘‘কেমন আছো? তোমার বয়স কত? স্কুলে ঠিকমতো পড়াশোনা করছো?’’ আর এক শিশুকে ট্রাম্পের প্রশ্ন, ‘‘বড়দিনে সান্তা তোমায় কী দেবে?’’ একই ভাবে শুভেচ্ছা জানান মেলানিয়াও। সোমবার রাতে ফার্স্ট লেডিকে নিয়ে তিনি যান ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল ক্যাথিড্রালে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE