Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

টুইটার নিয়ে ট্রাম্প-ডরসি কথা

টুইটারে অহরহ নানা পোস্ট করলেও সংস্থার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মোটেই ভাল নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বরাবরের অভিযোগ, রিপাবলিকান নেতা বলে টুইটার ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে।

জ্যাক ও ট্রাম্প।

জ্যাক ও ট্রাম্প।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:০১
Share: Save:

টুইটারে অহরহ নানা পোস্ট করলেও সংস্থার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মোটেই ভাল নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বরাবরের অভিযোগ, রিপাবলিকান নেতা বলে টুইটার ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে। মঙ্গলবার সেই প্রশ্নের জবাব চেয়ে হোয়াইট হাউসে সংস্থার সিইও জ্যাক ডরসির সঙ্গে একান্তে বৈঠক করলেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডরসির সঙ্গে এটাই তাঁর প্রথম বৈঠক। দিনের শেষে বৈঠকের ছবি পোস্ট করে সদর্থক বার্তা দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার ওই বৈঠকের কিছু ক্ষণ আগেও ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন, রাজনীতির রঙ বাছছে টুইটার। জেনে বুঝে প্রেসিডেন্টের ৬ কোটি ফলোয়ারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৈঠকের পর সেই ট্রাম্পই বললেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে বহু আলোচনা হল। ভবিষ্যতেও এমন খোলামেলা আলোচনার অপেক্ষায় রইলাম।’’ প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে জ্যাক লিখেছেন, ‘‘আলাপচারিতাকে আরও সুন্দর ও রুচিশীল করে তোলাই আমাদের উদ্দেশ্য।’’
হোয়াইট হাউস অবশ্য এই বৈঠক নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি। তবে ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ এক আধিকারিক জানিয়েছেন, টুইটারে তাঁর ফলোয়ার কমে যাওয়া নিয়ে অভিযোগ জানাতেই ডরসিকে ডেকে পাঠান ট্রাম্প। তা ছাড়া ২০২০ সালে আমেরিকার সাধারণ নির্বাচনে সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা এবং অনলাইনে মাদকাসক্তি
রোখার নানা পথ নিয়েও সেখানে আলোচনা হয়েছে।
গত জুলাইয়ে ট্রাম্প কুড়ি লক্ষেরও বেশি ফলোয়ার হারিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন। অক্টোবরে ফের বলেন, ‘‘আমার অ্যাকাউন্ট থেকে অনেককেই সরিয়ে দিয়েছে টুইটার। শুধু তা-ই নয়, ওরা এমন কিছু করেছে, যাতে নতুন কেউ যোগ দিতে চাইলেও অসুবিধায় পড়ছে। কয়েক সপ্তাহ আগেও যেটা রকেটের মতো দ্রুতগামী ছিল, এখন তা হাওয়া ভরা বেলুন মাত্র। এটা পক্ষপাত নয়তো কী!’’
প্রতিবারের মতো টুইটারের জবাব এ বারেও এক। তারা জানিয়েছে, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে টুইটার যে নীতি নিয়েছে তার ফলেই কমে গিয়েছে প্রেসিডেন্টের ফলোয়ার। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর প্রচার করে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। তার পরেই ভুয়ো অ্যাকাউন্ট রুখতে কড়া পদক্ষেপ করে টুইটার। রাতারাতি বন্ধ করে দেওয়া হয় এমন লক্ষ লক্ষ অ্যাকাউন্ট।
মঙ্গলবার ট্রাম্পের মুখোমুখি হওয়ার আগে, টুইটারের কর্মীদের কাছে একটি বার্তা পাঠান ডরসি। তাতে লেখা ছিল, ‘‘প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এই বৈঠক কেউ সমর্থন করবেন। কেউ ভাববেন, এর কোনও প্রয়োজনই নেই। তবে আমার বিশ্বাস, রাষ্ট্রপ্রধান যদি কিছু বলতে চান তা শোনা উচিত, আমাদের নীতি ও আদর্শ তাঁকে জানিয়ে দেওয়া উচিত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Donald Trump Politics Twitter Jack Dorsey
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE