Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

শরণার্থী ফেরাও, মেক্সিকোকে চাপ ডোনাল্ড ট্রাম্পের

গত রবিবার সকালে আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধ ভাবে আমেরিকা ঢোকার চেষ্টা করছিলেন শ’পাঁচেক অভিবাসী।

মেক্সিকো সীমান্তের টিয়ুয়ানায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জড়ো হয়েছেন প্রায় চার-পাঁচ হাজার অভিবাসী। ছবি: রয়টার্স।

মেক্সিকো সীমান্তের টিয়ুয়ানায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জড়ো হয়েছেন প্রায় চার-পাঁচ হাজার অভিবাসী। ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:০৬
Share: Save:

সমালোচনা শুরু হয়েছে ঘরে-বাইরে। তবে তাঁর দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পাশেই দাঁড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গেই মেক্সিকো সরকারের প্রতি টুইটারে তাঁর বার্তা, ‘‘মধ্য আমেরিকা, বিশেষ করে হন্ডুরাস থেকে আসা এই কয়েক হাজার অভিবাসীকে অবিলম্বে তাঁদের দেশে ফেরাতে হবে। এঁরা কোনও ভাবেই আমেরিকায় আসতে পারবেন না।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘বিমানে করে হোক, বাসে করে হোক, যে ভাবে হোক ওঁদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক।’’

এমনটা না হলে ফের অনির্দিষ্ট কালের জন্য মেক্সিকো সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর তোলার প্রসঙ্গও ফের তুলেছেন। জানিয়েছেন, মার্কিন কংগ্রেসই এর জন্য অর্থের ব্যবস্থা করবে। ট্রাম্পের এই বার্তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি মেক্সিকো সরকার।

গত রবিবার সকালে আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধ ভাবে আমেরিকা ঢোকার চেষ্টা করছিলেন শ’পাঁচেক অভিবাসী। মেক্সিকো সীমান্তের টিয়ুয়ানায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জড়ো হয়েছেন প্রায় চার-পাঁচ হাজার অভিবাসী। এঁদের মধ্যে বেশির ভাগই হন্ডুরাসের বাসিন্দা। রবিবারের দলটিতে ছিলেন বেশ কিছু মহিলা ও শিশুও। তাঁদের আটকাতেই কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে মার্কিন সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর লোকজন। যার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেক মা ও তাঁদের সন্তানেরা।

আরও পড়ুন: ডাকের বাক্স খালিই, আর আসে না চিঠি

বিষয়টি নিয়ে দেশে-বিদেশে সমালোচিত হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। ডেমোক্র্যাট শিবির তো বটেই, বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠনও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে। তবে তাঁর বাহিনীর কাজে একেবারেই ক্ষুব্ধ নন ট্রাম্প। বরং তাঁর দাবি, মেক্সিকো সীমান্তে শিশু ও মহিলাদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে অবৈধ ভাবে আমেরিকায় ঢুকতে চাইছিলেন মধ্য আমেরিকার এক দল অপরাধী।

আরও পড়ুন: শিবরাজের তরী বাঁচবে তো? চিন্তায় অমিত

যাঁরা বেশির ভাগই একা পুরুষ। এঁদের প্রত্যেকেরই অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। তাঁদের আটকাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না সীমান্ত রক্ষীদের কাছে। যদিও কী ভাবে এঁদের অপরাধী বলে চিহ্নিত করা হল, তার সপক্ষে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি ট্রাম্প। তাঁর আরও দাবি, ওই কাঁদানে গ্যাস সুরক্ষিত ছিল। তাতে শিশুদের ক্ষতি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Donald Trump Mexico Migrant
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE