হংকংয়ের বুকে যেন বাংলার ঝিলিক।
প্রবাসে বাঙালিয়ানার একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে শারদ উৎসব। নিজের জায়গা থেকে বহু দূরে বসে শরতের এই বিশেষ চারটে দিনের জন্য সারাটা বছর অপেক্ষায় বসে থাকে সব বাঙালিই। দক্ষিণ চিন সাগরের উপকূলে হংকংয়ে আবাসিক বাঙালিরাও এর ব্যতিক্রম নয়। হংকংয়ের বাঙালি অ্যাসোসিয়েশনের সৌজন্যে এ বার পুজো ১৯ বছরে পা দিল।
হংকংয়ে এই একটি মাত্র বারোয়ারি দুর্গা পুজো যাকে ঘিরে সকল বাঙালির সমাগম ঘটে।
আরও পড়ুন: গিনেসের স্বপ্নভঙ্গ, ভেঙে পড়ল ১০০ ফুটের দুর্গা
পুজোর প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। গত বছর থেকে এই পুজো ইন্ডিয়ান রিক্রিয়েশন ক্লাবের প্রাঙ্গনে মণ্ডপ বেঁধে করা হচ্ছে। এ বারেও তাই হবে। এই মুহূর্তে ভাবনা-চিন্তা চলছে মণ্ডপ সজ্জা নিয়ে। দেবী এ বার নৌকায় আসছেন, সেটাই মণ্ডপের থিম করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পুজোর পাঁচটা দিন পঞ্জিকা মেনে সব আচার পালন করা হয়। পঞ্মীতে ফাইবারের প্রতিমা ওয়্যারহাউস থেকে পূজা মণ্ডপে এনে সুন্দর করে সাজিয়ে শুরু হয় পুজো। পুজোর দু’দিন আগে এসে পড়বেন পুরুতমশাই ও দুই ঢাকি। কলকাতা থেকে আসবে পুজোর সামগ্রী, দেবীর শাড়ি, চাঁদমালা।
পুজোর দিনগুলোতে সন্ধেবেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে পুজো প্রাঙ্গনে। অংশগ্রহণ করবেন হংকং বাঙালি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। অনুষ্ঠানসূচি ইতিমধ্যেই সারা। সপ্তমী থেকে পূজা পাঙ্গনে সদস্যদের জন্য থাকবে ভুরিভোজের আয়োজন। রান্নার ঠাকুর আসবেন কলকাতা থেকে। মেনুতে থাকছে লুচি, ছোলার ডাল, মাছ, মাংস, চাটনি আরও কত কিছু। সঙ্গে কলকাতার মিষ্টি। বার্ষিক পত্রিকা ও এই সময় ছাপা হয় এই সময়টাতেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy