উদ্ধার করা হচ্ছে হাতিগুলোকে। ছবি: সংগৃহীত।
শুধুমাত্র শুঁড়টুকু তুলে মাঝসমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছিল হাতি দু’টি। সমুদ্রের ধারে টহল দিতে দিতে সে দিকে নজর পড়ে শ্রীলঙ্কার নৌসেনার। সঙ্গে সঙ্গে মোটা দড়ি, ছোটখাটো জাহাজ, লোক-লস্কর নিয়ে বুনো হাতি উদ্ধারে রওনা হয় তারা। প্রায় ১২ ঘণ্টার চেষ্টায় কোনওক্রমে হাতি দুটিকে ফিরিয়ে আনে তীরে।
রবিবার সকালে শ্রীলঙ্কার ত্রিনকোমালির রাউন্ড আইল্যান্ড ও ফাউল পয়েন্টের মাঝে সমুদ্রে হাতি দু’টিকে প্রথম ভাসতে দেখেন টহলদার সেনারা। বিপদ আঁচ করে সঙ্গে সঙ্গে ত্রিনকোমালির বন দফতরের কাছে খবর পাঠান তাঁরা। নৌসেনা ও বনকর্তাদের যৌথ উদ্যোগে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। বিরাট হাতি দু’টিকে মাঝ সমুদ্রে থেকে টেনে আনা তো মুখের কথা নয়! রীতিমতো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডুবুরিদের পাঠানো হয় সেই কাজের জন্য। সঙ্গে যায় একটি ছোট জাহাজও। যদিও শেষমেশ তাতে তুলতে হয়নি হাতি দু’টিকে। পায়ে দড়ি বেঁধে ধীরে ধীরে টেনে অল্প জলে নিয়ে আসা হয় তাদের। পাশাপাশি পাহারা দিতে দিতে আসে জাহাজটি। নিরাপদ জায়গায় পৌঁছোনোর পর নিজেরাই সাঁতরে পারে উঠে আসে হাতি দুটি।
বনকর্তারা জানিয়েছেন, উদ্ধারের পর ফাউল পয়েন্ট জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয় দুটি হাতিকে। তারা মনে করছেন, কোক্কিলাই হ্রদ পার হওয়ার সময়ই সম্ভবত ভেসে যায় তারা। এক বনকর্তার কথায়, ‘‘খুব বিস্ময়কর ভাবে বেঁচে গিয়েছে হাতি দুটি। মনে হচ্ছে অল্প সময়ে সাঁতরে পার হতে গিয়েই ঘটে যায় বিপত্তি। ভাগ্যিস সময়মতো সেগুলিকে দেখতে পায় টহলদারি নৌকাটি।’’
সপ্তাহ দুয়েক আগেও একই ভাবে শ্রীলঙ্কার উপকূল থেকে আট কিলোমিটার দূরে মাঝসমুদ্র থেকে একটি হাতিকে উদ্ধার করে সেনা। মে মাসেও সেনা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় ত্রিনকোমালি থেকে উদ্ধার হয় ২০টি তিমি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy