প্রতীকী ছবি।
পাঁচ রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা ভোট ও আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রচার ও বিজ্ঞাপনের জন্য ভারতে এ বার আলাদা পোর্টাল চালু করতে চলেছে ফেসবুক। তবে সেই পোর্টালে রাজনৈতিক দলগুলি কী প্রচার করবে, তারা কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দেবে, তার বক্তব্য কী, তাতে বিদ্বেষমূলক কিছু রয়েছে কি না, সেই সবই খতিয়ে দেখবে ফেসবুক।
সংস্থার গ্লোবাল পলিসি সলিউশন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট রিচার্ড অ্যালেন এ কথা জানিয়েছেন। ওই প্রচার ও বিজ্ঞাপনের জন্য ফেসবুক রাজনৈতিক দলগুলির কাছ থেকে অর্থ নেবে। তবে রাজনৈতিক দলগুলি যাতে কুৎসামূলক প্রচার করতে না পারে, তার ওপরেও কড়া নজর রাখবে ফেসবুক।
ফেসবুকে রাজনৈতিক দলের প্রচার ও বিজ্ঞাপন নিয়ে এর আগে তুমুল হইচই হয়েছে মার্কিন মুলুকে। অভিযোগ উঠেছে, ফেসবুককে ব্যবহার করে কোনও দেশের নির্বাচনে বিদেশিরা নাক গলাচ্ছেন। ভারতের ভোটেও পোর্টাল চালুর ক্ষেত্রে ফেসবুকের নীতি কী হবে, তা স্পষ্ট হয়নি। বলা হয়নি, সেই খতিয়ে দেখার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কোনও প্রতিনিধি থাকবেন কি না। ফেসবুক রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রচারের প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে কতটা দায়বদ্ধ থাকবে বা আদৌ দায়বদ্ধ থাকবে কি না, তাও স্পষ্ট নয়।
ফেসবুকের গ্লোবাল পলিসি সলিউশন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বলেছেন, ‘‘এই ধরনের প্রচারের ক্ষেত্রে কী কী সমস্যা হতে পারে আর কী ভাবেই বা সেগুলি দূর করা যেতে পারে, তা এখন আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। ফেসবুক রাজনৈতিক দলগুলিকে তার প্ল্যাটফর্ম এমন ভাবে ব্যবহার করতে দিতে চায়, যাতে ভারতে ভোট অবাধ ও স্বচ্ছ ভাবে হয়। ভোট প্রক্রিয়াকে কোনও ভাবেই কলঙ্কিত করতে দেওয়া হবে না।’’
নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে তাদের প্রচার ও বিজ্ঞাপনের জন্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ এর আগেও দিয়েছে ফেসবুক। তবে তা ভারতে নয়, অন্য দেশে। আমেরিকা, ব্রাজিল ও ইংল্যান্ডে। গত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অবশ্য ফেসবুককে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যবহার করার পদ্ধতি নিয়ে তুমুল হইচই হয়েছিল আমেরিকায়। অভিযোগ উঠেছিল, ফেসবুকের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিদেশি (পড়ুন, রাশিয়া)-রা নাক গলাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও সেখানকার রাজনৈতিক দলগুলির অভ্যন্তরীণ কাজকর্মে।
আরও পড়ুন- ভোটে ভুয়ো খবর ঠেকানোর আশ্বাস সোশ্যাল মিডিয়ার
আরও পড়ুন- ক্রমেই কি সমান্তরাল ক্ষমতার কেন্দ্র হয়ে উঠছেন ডোভাল?
তার প্রেক্ষিতে এ বছর মে মাস থেকে গোটা বিষয়টিকে আরও নিরপেক্ষ করে তোলার চেষ্টা করেছে ফেসবুক। তাদের প্ল্যাটফর্মকে রাজনৈতিক দলগুলি প্রচার ও বিজ্ঞাপনের জন্য কী ভাবে ব্যবহার করতে চাইছে, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
অ্যালেন জানিয়েছেন, ভারতে ভোটের ক্ষেত্রে ওই সব কিছুই মাথায় রাখা হবে। সহায়তা নেওয়া হবে বিদেশি এজেন্সিগুলিরও। একটি টাস্ক ফোর্স গড়া হবে। যাতে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, কমিউনিটি বিশেষজ্ঞ ছাড়াও থাকবেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল বিশেষজ্ঞরাও। তারা রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার ও বিজ্ঞাপনের বিষয়বস্তু খতিয়ে দেখবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy