Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
International

চড়া আলোয় আতঙ্কিত কিম, মার্কিন ঘাঁটিতে নির্দয় আঘাত হানার হুমকি

মার্কিন বাহিনীর উপর এ বার ‘নির্দয়’ আঘাত হানার হুমকি দিল উত্তর কোরিয়া। উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে মার্কিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ বাহিনী উত্তরের সেনাকে চূড়ান্ত প্ররোচনা দিচ্ছে বলে পিয়ংইয়ং-এর অভিযোগ। মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালাবে কোরিয়ান পিপল’স আর্মি (উত্তর কোরীয় সেনা), ঘোষণা করেছে কিম জং উনের সরকার।

আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্কেই কি পাল্টা হামলার হুমকি কিমের? —ফাইল চিত্র।

আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্কেই কি পাল্টা হামলার হুমকি কিমের? —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৬ ১৪:৫৪
Share: Save:

মার্কিন বাহিনীর উপর এ বার ‘নির্দয়’ আঘাত হানার হুমকি দিল উত্তর কোরিয়া। উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে মার্কিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ বাহিনী উত্তরের সেনাকে চূড়ান্ত প্ররোচনা দিচ্ছে বলে পিয়ংইয়ং-এর অভিযোগ। উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত চৌকির দিকে তাক করে রাখা ফ্লাড লাইট অবিলম্বে নিভিয়ে দেওয়া না হলে ভয়ঙ্কর হামলা চালাবে কোরিয়ান পিপল’স আর্মি (উত্তর কোরীয় সেনা), ঘোষণা করেছে কিম জং উনের সরকার।

দুই কোরিয়ার সীমান্তে প্রায় ৪ কিলোমিটার চওড়া ডিমিলিটারাইজড জোড বা সেনা মুক্ত অঞ্চল রয়েছে। আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ীই ওই অংশে সামরিক শক্তিপ্রদর্শন নিষিদ্ধ। কিন্তু উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া দীর্ঘ দিন ধরেই পরস্পরের বিরুদ্ধে চুক্তি ভেঙে ডিমিলিটারাইজড জোনে সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে বলে দু’পক্ষই অভিযোগ করছে। গত কয়েক দিনে সেই উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ডিমিলিটারাইজড জোনের পানমুনজম এলাকাতেই সমস্যার সূত্রপাত। পানমুনজমের যে দিকে উত্তর কোরিয়ার সেনা চৌকি রয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার দিক থেকে সে দিকে ফ্লাড লাইট ফোকাস করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে ফ্লাড লাইট জ্বালিয়ে উত্তর কোরিয়ার গার্ড পোস্টগুলিতে চড়া আলো ফেলে রাখা হয়েছে বলে পিয়ংইয়ং-এর দাবি। উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘‘কোরিয়ান পিপল’স আর্মির সীমান্ত চৌকিতে যে ভাবে সর্বক্ষণ চড়া আলো ফেলে রাখা হয়েছে, তাকে আমরা অসহ্য প্ররোচনা হিসেবে দেখছি এবং ফ্লাড লাইটগুলিতে এ বার নির্দয় আঘাত হানা হবে।’’

আরও পড়ুন: চিনা নিশানায় ‘চিকেনস নেক’, শিলিগুড়ি রক্ষায় বিপুল প্রস্তুতি ভারতেরও

গত সোমবার দুই কোরিয়ার সীমান্তের কাছে যৌথ মহড়া দিয়েছে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ বাহিনী। পিয়ংইয়ং-এর দাবি, ওই মহড়া আসলে উত্তর কোরিয়া আক্রমণ করার মহড়া। ফলে সোমবারের পর থেকেই কোরীয় সীমান্তে উত্তেজনা প্রবল। তার মধ্যেই শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পানমুনজমে উত্তর কোরীয় সোনা চৌকি তাক করে চড়া ফ্লাড লাইট জ্বলে ওঠায়, পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। কোরিয়ান পিপল’স আর্মির পদস্থ কর্তারা জানিয়েছেন, যে ভাবে সর্বক্ষণ আলো জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে, তাতে উত্তর কোরিয়ার বাহিনীর স্বাভাবিক নজরদারির কাজ সাংঘাতিক ভাবে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। বাহিনীর নিরাপত্তাও বিপন্ন। আলো না নিভলে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ বাহিনীকে উত্তর কোরিয়া আক্রমণ করতে বাধ্য হবে বলে কিম জং উনের সেনা চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE