Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ভূমিকম্পেই জল ঘোলা, বিপদ তিন হ্রদের: চিন

তিব্বতের ওই সাংপো ভারতে অরুণাচল প্রদেশে ঢুকে নাম পেয়েছে সিয়াং এবং অসমে ব্রহ্মপুত্র।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
বেজিং শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৪০
Share: Save:

তিব্বতে ভূমিকম্পের কারণে ভারতে ব্রহ্মপুত্র-সিয়াংয়ের জল ঘোলা হয়ে পড়েছে বলে দাবি করল চিন। জানাল, গত মাসের ওই ভূমিকম্পে তৈরি হওয়া তিনটি হ্রদ ও ইয়ারলুং সাংপো নদীর জলের তথ্য তারা নিয়মিত জানাবে।

তিব্বতের ওই সাংপো ভারতে অরুণাচল প্রদেশে ঢুকে নাম পেয়েছে সিয়াং এবং অসমে ব্রহ্মপুত্র। সম্প্রতি সিয়াং-ব্রহ্মপুত্রের জলে কাদামাটি ও অন্যান্য দূষণকারী মারাত্মক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য দু’টিতে। ভূমিকম্পের কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে বলে কেন্দ্রীয় সরকার জানালেও রাজ্য দু’টি তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। এর কারণ জানতে চিনের সঙ্গে যোগাযোগ করারও দাবি জানানো হয়। গত ২২ ডিসেম্বর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে চিনের ‘স্টেট কাউন্সিলর’ ইয়াং জিয়েচির যে সীমান্ত বৈঠক হয় সেখানে এই প্রসঙ্গে কথা হয়। এ বারে মুখ খুলল চিন সরকার।

চিনের বিদেশ মন্ত্রক ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বক্তব্য, গত মাসে তিব্বতে বড় ভূমিকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৬.৪। এর জেরে বিশাল তিনটি হ্রদ সৃষ্টি হয়েছে। এগুলির কোনটি কত বড়— তার পুরো মাপজোক এখনও হয়নি। কিন্তু আশঙ্কার বিষয় হল, জলের চাপে যদি ওই তিন হ্রদ একসঙ্গে জুড়ে যায়, কিংবা সেগুলির পাড় ভেঙে তার জল আচমকা সাংপো দিয়ে বয়ে নামে, তবে বিপদ হবে ভারতে। জলোচ্ছাসে সিংয়া ও ব্রহ্মপুত্রের দু’ধারে বিস্তীর্ণ জনবসতির বিপুল ক্ষতি হতে পারে।

আরও পড়ুন: চিন-পাক করিডর আফগানিস্তান পর্যন্ত টানার চেষ্টা

ফলে ওই তিন হ্রদ ও সাংপোর হাল হকিকত নিয়মিত জানাটা ভারতের পক্ষে খুবই জরুরি। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনিং আজ বেজিংয়ে বলেন, ‘‘ভারত ও চিনের মধ্যে তথ্য বিনিময়ের বর্তমান যে কাঠামো রয়েছে, তার মাধ্যমেই দু’দেশের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা নদীগুলির তথ্য জানাব আমরা।’’

ভারতে অনেকের অভিযোগ, চিনে নির্বিচার নির্মাণকাজের কারণেই সিয়াং-ব্রহ্মপুত্রের জল এমন ঘোলা ও দূষিত হয়ে পড়েছে। এমন অভিযোগও ওঠে যে, জিনজিয়াং প্রদেশে নদীর জল পাঠাতে সুদীর্ঘ সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে বেজিং। এ তারই ফল। চিনা মুখপাত্র হুয়া এ দিন সেই অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, ‘‘হ্রদগুলি প্রকৃতিক কারণেই তৈরি হয়েছে। এগুলি আদৌ মানুষের তৈরি নয়। ভারতেও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞেরাও এ কথাই জানিয়েছেন। উপগ্রহ-ক্যামেরাতেও ধরা পড়েছে বিষয়টি। আমরা আশা করব ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ভিত্তিহীন জল্পনা প্রচার করা থেকে বিরত থাকবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE