শান্তির খোঁজে: ফরিদ আহমেদ (বাঁ দিকে) ও ইমদাদুল্লা রশিদি।
দু’টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু দু’ক্ষেত্রেই প্রিয়জনকে হারানোর যন্ত্রণাটা এক। সব কিছুকে ছাপিয়ে মনুষ্যত্ববোধ আর শান্তির যে বার্তা, তা-ই মিলিয়ে দিল পৃথিবীর দু’প্রান্তের দুই মানুষকে। ঘনিষ্ঠতম মানুষকে হারিয়েও দু’জনের মুখে শোনা গেল এক সুর— শেষ পর্যন্ত ক্ষমাই শ্রেষ্ঠ পথ!
এক জন নিউজ়িল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে জঙ্গি হানায় সদ্য স্ত্রীকে হারানো ফরিদ আহমেদ। অন্য জন এক বছর আগে অশান্তির জেরে ছেলেকে হারানো আসানসোলের ইমাম ইমদাদুল্লা রশিদি।
গত বছর অশান্ত হয়ে উঠেছিল আসানসোল ও সংলগ্ন এলাকা। গোলমালের মধ্যে আসানসোলের রেলপাড় এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় আসানসোলের নুরানি মসজিদের ইমাম রশিদির ছেলে, দশম শ্রেণির ছাত্র সিবতুল্লা। নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। পরে তার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে চাননি ইমাম। বরং বলেছিলেন, সন্তানের মৃত্যুর প্রত্যাঘাত হলে তিনি মসজিদ এবং আসানসোল ছেড়ে চলে যাবেন।
সেই ইমামের কাছেই সোমবার পৌঁছে দেওয়া হল নিউজ়িল্যান্ডবাসী ফরিদের শান্তিবার্তা। যিনি জঙ্গি হানায় স্ত্রীকে হারানোর পরেও বলছেন, ‘‘আমি বন্দুকবাজকে ক্ষমা করেছি। আমার স্ত্রী বেঁচে থাকলেও তাই করতেন।’’ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফরিদের কথা শুনে রশিদি বলেন, ‘‘যা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। কিন্তু দুনিয়াকে এখন শত্রুতা দিয়ে নয়, পারস্পরিক ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করতে হবে। মানুষ তো জীবদের প্রতিও নরম মনোভাবাপন্ন হয়। তবে মানুষে-মানুষে কেন এই নৃশংসতা? এ সব বন্ধ করতে হবে। আশা রাখি, দ্বিতীয় বার এমন ঘটনা ঘটবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy