Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

‘এ দেশে পড়ে চাকরি অন্যত্র!’

কেন? ট্রাম্পের জবাব, মেধার ভিত্তিতে আমেরিকায় আসা সেই ‘সেরার সেরা’রা মজবুত করবেন মার্কিন অর্থনীতি।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:২৫
Share: Save:

আমেরিকায় এলাম, পড়লাম, চলে গেলাম— চাইছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর দাবি, শ্রেষ্ঠ মার্কিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি থেকে লেখাপড়ার সুযোগ নিলে থিতু হওয়া উচিত সে দেশেই। কেন? ট্রাম্পের জবাব, মেধার ভিত্তিতে আমেরিকায় আসা সেই ‘সেরার সেরা’রা মজবুত করবেন মার্কিন অর্থনীতি।

শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্রতি বছর অন্য দেশ থেকে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলিতে পড়তে আসেন পড়ুয়ারা। আর তার পরে আমেরিকা ছেড়ে অন্য দেশে গিয়ে চাকরি করেন। এর জন্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ‘হাস্যকর’ অভিবাসন নীতিকে দুষেছেন তিনি। কিন্তু ক্ষমতায় আসার ঢের আগে থেকেই ‘আমেরিকান ফার্স্ট’ নীতি কার্যকর করা নিয়ে গলা ফাটিয়েছেন ট্রাম্প। অভিযোগ করেছেন, অন্য দেশের কর্মীরা মার্কিন যুবকদের কাজের সুযোগে ভাগ বসাচ্ছেন। এমনকি ট্রাম্প এলে চাকরি খোয়ানোর আশঙ্কা করেছেন গুগলের মতো সংস্থার বিদেশি কর্মীরা। সেই ট্রাম্পই কেন চাকরিক্ষেত্রে সুযোগ দিতে চাইছেন বিদেশিদের?

সরাসরি না হলেও এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প স্বীকার করেছেন, দক্ষ ও মেধাবী কর্মীর প্রয়োজন রয়েছে আমেরিকায়। বলেছেন, ‘‘বড় বড় সংস্থাগুলির অভিযোগ, আমেরিকার শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সেরা পড়ুয়াদের আমরা এ দেশে থাকতে দিতে পারছি না। তাই তাঁরা চিন, জাপান বা বিশ্বের অন্যান্য দেশে চলে যাচ্ছেন। অর্থাৎ, তাঁদের দক্ষতা সেখানে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রাক্তন সরকারের বিদেশ নীতির ফলে লেখাপড়ার শেষে আমেরিকা থেকে ফিরে যেতে হচ্ছে মেধাবীদের।’’

প্রেসিডেন্টের দাবি, মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিতে শিক্ষিত ও দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন। তবে তিনি সাফ বলেছেন, ‘‘শুধুমাত্র মেধার ভিত্তিতে আমেরিকায় আসার সুযোগ পাবেন বিদেশিরা। এত বছর ধরে যে ভাবে এসেছেন, সে ভাবে নয়।’’

ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই নিয়ে শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ডেমোক্র্যাট সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। পরে বলেছেন, ‘‘আমরা এ নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি ওঁরা একমত হবেন। আমাদের বিদেশ নীতির ত্রুটির কারণে মেধাবী ও শিক্ষিত কর্মীরা হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। আমাদের শ্রেষ্ঠ সংস্থাগুলির ক্ষতি হচ্ছে। আমরা তা চাই না। আমরা চাই, বিশ্বসেরা মার্কিন সংস্থাগুলিতে সেরা কর্মীরা কাজ করুক। এগিয়ে নিয়ে যাক মার্কিন অর্থনীতিকে।’’

মেধার ভিত্তিতে ভিসা দেওয়া নিয়ে বরাবরই সওয়াল করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের এইচ ওয়ান-বি ভিসা নীতির কড়াকড়ির জেরেই বাইরের দেশগুলি থেকে আমেরিকায় পড়াশোনা বা গবেষণার কাজে এসে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েতে হচ্ছে অনেককে। সমীক্ষায় প্রকাশ, গত এক বছরে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বিদেশি পড়ুয়ার হার কমেছে। এ দিন, ট্রাম্প আরও একবার মনে করালেন, ‘‘কেউ আমেরিকায় আশ্রয় নিতে চাইলে তাকে বৈধ পথে আসতে হবে। বৈধ অভিবাসীদের নিয়ে আপত্তি নেই প্রশাসনের।’’

এই প্রসঙ্গে ক্যালিফর্নিয়ায় নিহত ভারতীয় বংশোদ্ভূত পুলিশ অফিসার রনিল সিংহের কথাও টেনেছেন তিনি। ২৬ ডিসেম্বর মেক্সিকো থেকে আসা এক অভিবাসীর গুলিতে প্রাণ হারান রনিল। ট্রাম্পের বক্তব্য, আমেরিকাকে নিরাপদে রাখার জন্য সুরক্ষিত সীমান্ত প্রয়োজন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE