ক’দিন আগেই রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে এসে শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার বিদেশমন্ত্রী। কিন্তু বিরোধীদের আশঙ্কা, মুখে শান্তির কথা বললেও তারা তলে তলে পঞ্চম পরমাণু পরীক্ষার তোড়জোড় চালাচ্ছে জোরকদমে। আর তাই গত কাল দু-দু’টি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ব্যর্থ হওয়ার পরও হাল ছাড়েনি কিম জং-উনের দেশ। আজ সকালে ফের একই পরীক্ষার চেষ্টা চালায় তারা। তবে সাফল্য আসেনি এ বারেও।
এমনিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষেধাজ্ঞা থাকায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার অনুমতি নেই উত্তর কোরিয়ার। কিন্তু এই নিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলছে একের পর এক শক্তি পরীক্ষা। গত কাল ও আজ একাধিক ব্যর্থ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর অবশ্য আর চুপ করে নেই রাষ্ট্রপুঞ্জ। শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। আমেরিকার অনুরোধে আজ জরুরি বৈঠক তলব করে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। সেখানে ১৫ সদস্য এক যোগে সরব হয়েছেন কিমের নিন্দায়। সদস্যদের এই প্রতিক্রিয়ার পরই কড়া জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
আগামী ৬ মে উত্তর কোরিয়ায় ওয়ার্কার্স পার্টির কংগ্রেস। বিরোধী রাষ্ট্র আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার ধারণা, তার আগে আর এক বার শেষ কামড় দেওয়ার একটা চেষ্টা চালাবেন শাসক কিম। এ বছরের শুরুতেই হাইড্রোজেন বোমা ফাটিয়ে বর্ষবরণে মেতেছিলেন তিনি। কিন্তু তার পর কয়েক মাস কেটে গিয়েছে। মাঝে ছোট খাটো পরীক্ষায় ছেদ পড়েনি ঠিকই, কিন্তু গোটা বিশ্বে তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো আর কিছুই করে দেখাতে পারেননি তিনি। পার্টি কংগ্রেসের আগে মরিয়া চেষ্টা থেকেই ফের লাগাতার পরীক্ষায় নেমেছেন কিম।
তবে তাঁর চোখরাঙানিকে ভয় পেতে রাজি নয় বিরোধীরা। উত্তর কোরিয়া যাতে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে না পারে, তাই দক্ষিণের মাটিতে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনা করছে আমেরিকা। তবে রাশিয়া ও চিন এখনই এই প্রস্তাব মানতে নারাজ। তাদের আশঙ্কা, এই ‘টারমিনাল হাই অল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্স’ বা ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী যন্ত্র লাগালে চিন-রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাতেও প্রভাব পড়বে এর। মার্কিন প্রশাসনকে তাই এখনই এই যন্ত্র না বসানোর অনুরোধ করেছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy