Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Robert Milligan

দাসমালিক মিলিগানের মূর্তি সরাল প্রশাসনই

পূর্ব লন্ডনের ওয়েস্ট ইন্ডিয়া ‘কি’-তে ছিল মিলিগানের মূর্তি। সেটি যখন সরানো হচ্ছে, কাল হাততালি আর হর্ষধ্বনিতে ফেটে পড়ে জনতা।

সরানো হচ্ছে রবার্ট মিলিগানের মূর্তি। বুধবার লন্ডনে। রয়টার্স

সরানো হচ্ছে রবার্ট মিলিগানের মূর্তি। বুধবার লন্ডনে। রয়টার্স

শ্রাবণী বসু
লন্ডন শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২০ ০৪:৩৭
Share: Save:

আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গ আন্দোলেনর অনুরণন, ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছিল ব্রিটেনেও। এ বার তারই প্রত্যক্ষ অভিঘাতে পূর্ব লন্ডনে সরিয়ে ফেলা হল দাসমালিক রবার্ট মিলিগানের মূর্তি। ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’-এর ঢেউ ব্রিটেনে আছড়ে পড়ার পর থেকেই মিলিগানের মূর্তি নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার টাওয়ার হ্যামলেটস বরো প্রশাসন মূর্তিটি সরিয়েই দেয়।

পূর্ব লন্ডনের ওয়েস্ট ইন্ডিয়া ‘কি’-তে ছিল মিলিগানের মূর্তি। সেটি যখন সরানো হচ্ছে, কাল হাততালি আর হর্ষধ্বনিতে ফেটে পড়ে জনতা। গত সপ্তাহে প্রতিবাদীরা নিজেরাই ব্রিস্টল বন্দরে দাসমালিক এডওয়ার্ড কলস্টনের মূর্তি সরিয়েছিলেন। মিলিগানের মূর্তি সরাল প্রশাসনই।

গত কাল লন্ডনের মেয়র সাদিক খান ঘোষণা করে দেন, লন্ডনের যাবতীয় মূর্তি এবং রাস্তার নাম খতিয়ে দেখা হবে। দাসব্যবসার সঙ্গে জড়িত কারও নাম এলেই তা সরিয়ে ফেলা হবে। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলই প্রথম পদক্ষেপ করল। ১৮০৯ সালে মিলিগানের মৃত্যু হয়। সে সময় জামাইকায় তাঁর আখের খেতে ৫২৬ জন ক্রীতদাস ছিলেন। কাউন্সিল তার বিবৃতিতে বলেছে, গোটা বরো-ই তারা পরীক্ষা করে দেখবে, এমন আর কোনও সৌধ বা মূর্তি রয়ে গেল কি না।

গত সপ্তাহে লেবার দলের এক কাউন্সিলর মিলিগানের মূর্তি সরানোর জন্য আবেদন করেছিলেন। যে জমিতে মূর্তিটি ছিল, তার মালিক, ক্যানাল অ্যান্ড রিভার ট্রাস্ট তখন বলে যে, তারা মূর্তি সরানোর ব্যবস্থা করবে। সেটাই করা হল। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বক্তব্য, মানুষ নিজে যেন মূর্তি সরানো বা মূর্তি নষ্ট করার মতো বেআইনি কাজকর্মে লিপ্ত না হন।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ওরিয়েল কলেজ থেকে উনিশ শতকের ব্রিটিশ উপনিবেশবাদী তথা ধনকুবের সেসিল রোডসের মূর্তি সরানোর দাবি আবার জোরদার হয়ে উঠেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, এটা একটু ভণ্ডামি হচ্ছে। কারণ এই রোডসের রেখে যাওয়া অর্থতেই রোডস স্কলারশিপ, যা কৃষ্ণাঙ্গরাও পেয়ে থাকেন। সেই স্কলারশিপে পড়াশোনা করে রোডসের মূর্তি সরানোর দাবি তোলার অর্থ নেই।

এ দিকে সংবাদ সংস্থার খবর, গত কাল রাতে আমেরিকার রিচমন্ডে একটি পার্কে কলম্বাসের একটি মূর্তিতে প্রথমে ভাঙচুর চালান প্রতিবাদীরা। তার পরে সেটিকে পার্কের ভিতরে ঝিলের জলে ফেলে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, কলম্বাসের হাত ধরেই ঔপনিবেশিকতা ও বর্ণবিদ্বেষ ঢুকেছিল আমেরিকায়।

আরও পড়ুন: করাচির আকাশে যুদ্ধবিমানের দাপাদাপি! সোশ্যাল মিডিয়ায় সার্জিকাল স্ট্রাইকের জল্পনায় ঝড়

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE