Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

মেয়েদের দৌড়ে না, বিতর্কে অস্ট্রেলিয়ার স্কুল

দৌড়লে যদি মেয়েদের কুমারীত্ব নষ্ট হয়। তাই এ বার ছাত্রীদের দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করল মেলবোর্নের একটি স্কুল। স্কুল কর্তৃপক্ষের এ হেন সিদ্ধান্তে স্বভাবতই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। ভিক্টোরিয়া অঞ্চলের অতি পরিচিত কো-এডুকেশন এই স্কুলে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা পড়তে পারে। গত মাসেই স্থানীয় একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয় ওই স্কুলেরই এক প্রাক্তন শিক্ষিকার চিঠি।

সংবাদ সংস্থা
মেলবোর্ন শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:১৩
Share: Save:

দৌড়লে যদি মেয়েদের কুমারীত্ব নষ্ট হয়। তাই এ বার ছাত্রীদের দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করল মেলবোর্নের একটি স্কুল। স্কুল কর্তৃপক্ষের এ হেন সিদ্ধান্তে স্বভাবতই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।

ভিক্টোরিয়া অঞ্চলের অতি পরিচিত কো-এডুকেশন এই স্কুলে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা পড়তে পারে। গত মাসেই স্থানীয় একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয় ওই স্কুলেরই এক প্রাক্তন শিক্ষিকার চিঠি। সেই চিঠিতে তিনি স্কুলের বর্তমান অধ্যক্ষ ওমর হাল্লাকের বিরুদ্ধে কার্যত তোপ দেগেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘অধ্যক্ষ মনে করেন মেয়েরা দৌড়লে তাদের কুমারীত্ব নষ্ট হতে পারে। অধ্যক্ষ আরও মনে করেন যে দৌড়তে গিয়ে বা খেলতে গিয়ে মেয়েরা কোনও রকম আঘাত পেলে তা তাদের বন্ধ্যাত্বের কারণও হতে পারে। তাই মেয়েদের জন্য দৌড় প্রতিযোগিতা নিষিদ্ধ ওই স্কুলে। আর এ সবের পিছনে বৈজ্ঞানিক কারণ আছে বলে ব্যাখ্যা করেছেন ওমর।’’

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর আজ নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ভিক্টোরিয়ার শিক্ষামন্ত্রী জেমস মার্লিনো বলেছেন, ‘‘ওই প্রাক্তন শিক্ষিকার দাবি যদি আদৌ সত্যি হয়, তা হলে তা খুবই দুশ্চিন্তাজনক। এবং আপত্তিকরও বটে।’’ একটি সংস্থাকে এ বিষয়ে তদন্ত করার দায়িত্বও দিয়েছেন জেমস। ওমরের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, ২০১৩-২০১৪ সালে আয়োজিত জাতীয় স্তরের বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় তাঁর স্কুলের ছাত্রীদের অংশ নিতে দেননি অধ্যক্ষ। আর ওমরের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চিঠি লিখে তখন প্রতিবাদও জানায় ওই একই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া অন্য স্কুলের মেয়েরা। স্থানীয় সেই সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল সেই চিঠিও। সেখানে তারা লিখেছিল, ‘‘শুধুমাত্র মেয়ে বলে দৌড়ে অংশ নিতে পারব না— এ কথার কোনও যুক্তি নেই। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আমাদেরও অপমান করেছে।’’

কিন্তু স্কুলের অধ্যক্ষ ওমর বলেছেন, ‘‘সংবাধমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টগুলি আদৌ সত্য নয়।’’ তাঁর দাবি, তাঁর স্কুলের ছাত্রীরা লঙ্গ জাম্প, দৌড়, ক্রিকেট, হকি-সহ বিভিন্ন খেলাধুলোয় অংশ নেয়। আর এ সব ক্ষেত্রে মেয়েদের পিছিয়ে থাকাকে তিনি মোটেও সমর্থন করেন না বলেও জানিয়েছেন ওমর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE