গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
মহিলাদের ওপর যৌন হেনস্থার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখবে গুগল। কোম্পানির কর্মীদের এই নির্দেশিকা পাঠালেন গুগল চিফ এক্সিকিউটিভ সুন্দর পিচাই। একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের কাছে এসে পৌঁছেছে সেই নির্দেশিকা। শুধু তাই নয়, যৌন হেনস্থার অভিযোগে গুগল ৪৮ জন কর্মীকে বরখাস্ত করেছে বলেও জানা গিয়েছে এই নির্দেশিকা থেকে।
বরখাস্ত করা ৪৮ জনের মধ্যে ১৩ জনই কোম্পানির সিনিয়র ম্যানেজার। তাঁদের প্রত্যেককেই যৌন হেনস্থার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এঁদের কাউকেই কোম্পানি থেকে বহিষ্কার করার পর প্রয়োজনীয় সুযোগে সুবিধে দেওয়া হয়নি।
সিলিকন ভ্যালির টেক কোম্পানিগুলিতে পুরুষ এবং শেতাঙ্গদের দাপট বেশি, এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবেই মহিলা এবং বিভিন্ন সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব সেভাবে নেই বিভিন্ন টেক কোম্পানিতে। গুগলও তার ব্যতিক্রম নয়। এই কোম্পানিতে কর্মীদের ৭৫ শতাংশ পুরুষ। একই সঙ্গে মোট কর্মীদের ৯৩ শতাংশই শেতাঙ্গ এবং এশিয়ান। শুধু পুরুষ প্রাধান্যই নয়, সিলিকন ভ্যালির বিভিন্ন টেক কোম্পানিতে মহিলাদের ওপর যৌন হেনস্থা চালানোর অভিযোগও উঠেছে বিভিন্ন সময়ে। এছাড়া কোম্পানির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও পেছনে রাখা হয় মহিলাদের, এই অভিযোগও দীর্ঘদিনের।
২০১৪ সালে যৌন হেনস্থার অভিযোগ সামনে আসার পর কোম্পানি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল গুগলের অন্যতম শীর্ষ কর্তা অ্যান্ডি রুবিনকে। যদিও অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জনক রুবিনকে কোম্পানি ছাড়ার সময় নয় কোটি ডলার দেওয়া হয় কোম্পানির তরফে। সেই তথ্য সামনে আসার পরই ওঠে সমালোচনার ঝড়। যৌন হেনস্থার দোষে দুষ্ট একজন কর্মীকে কী কারণে আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হল, তাই নিয়েই উঠেছিল প্রশ্ন। ৪৮ কর্মীকে বরখাস্ত করার কথা জানানো হলেও রুবিনের বিষয়টি নিয়ে এখনো মুখ খোলেনি গুগল।
আরও পড়ুন: রাস্তা ধসে ঢুকে গেলেন দুই মহিলা, তার পর...
শুধু গুগল নয়, কিছুদিন আগে উবর কোম্পানিতেও যৌন হেনস্থার অভিযোগ সামনে এনেছিলেন এক মহিলা কর্মী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে চলে দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত। সেই অভিযোগের জেরে শেষ পর্যন্ত নিজেদের নীতি বদলাতে বাধ্য হয় উবর। সরে যেতে হয় কোম্পানির চিফ এক্সিকিউটিভ ট্রাভিস কালানিককেও।
আরও পড়ুন: সন্দেহজনক প্যাকেট এ বার ডি নিরোকেও
(আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক চুক্তি, আন্তর্জাতিক বিরোধ, আন্তর্জাতিক সংঘর্ষ- সব গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy