প্রাণ-নিয়ে: তখনও বন্দুক হাতে তাণ্ডব চালাচ্ছে আইএস। ছত্রভঙ্গ সেনার কুচকাওয়াজ। দর্শকাসনে উপস্থিত মহিলা ও শিশুদের বাঁচানোর চেষ্টায় এক সেনাকর্মী। শনিবার ইরানের আহভাজ়ে। এপি
দক্ষিণ-পশ্চিম ইরানের আহভাজ় শহরে সেনার কুচকাওয়াজে জঙ্গি হানায় শিশু ও মহিলা-সহ কমপক্ষে ২৯ জনের মৃত্যু হল। জখম ৫৩। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আহতদের অনেকের অবস্থাই গুরুতর। মুখপত্র ‘আমাক’-এ হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। বাহিনীর পাল্টা গুলিতে নিহত হয়েছে হামলাকারী চার জঙ্গিই।
গত বছরেও ইরানের এই অঞ্চলে তেলের পাইপলাইনে হামলা চালিয়েছিল আইএস ও আরবের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো। যদিও শনিবারের ঘটনায় ইরানের বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ জাভেদ জ়ারিফ হামলার দায় চাপিয়েছেন পড়শি রাষ্ট্রগুলো ও তাদের ‘মাথা আমেরিকার’ ঘাড়ে। প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানিও বলেন, ‘‘যারা এই সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য করছে, জবাব তাদের দিতেই হবে।’’ ইরাক সীমান্তের কাছে ওই হামলা নিয়ে জাভেদ জ়ারিফ টুইট করেন, ‘‘জঙ্গিদের নিয়োগ থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং তার পর হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার গোটাটাই করছে বিদেশি শক্তিরা। এদের মাথা আমেরিকা।’’
ইরাক সীমান্তে খুজ়েস্তান প্রদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলা লেগেই থাকে। ইরান বরাবরই পড়শি দেশগুলোর দিকে আঙুল তুলে এসেছে। এ দিন ইরাক-ইরান যুদ্ধের ৩৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশের নানা প্রান্তে কুচকাওয়াজের আয়োজন করেছিল সেনাবাহিনী। আহভাজ়ে সে রকমই একটি প্যারেডে হামলা চালায় আইএস। পাশের একটি পার্ক থেকে হঠাৎই সেনা, সরকারি আধিকারিক ও দর্শকদের লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে বন্দুকবাজেরা। স্থানীয় সময় তখন সকাল ন’টা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, টানা দশ মিনিট ধরে গুলি চালাতে থাকে হামলাকারীরা।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক সেনা আধিকারিকের কথায়, ‘‘হঠাৎ দেখি সেনাবাহিনীর ভুয়ো পোশাক পরে সশস্ত্র কয়েক জন মঞ্চের পিছন থেকে গুলি চালাচ্ছে। তার পরেই দর্শকাসনে উপস্থিত মহিলা এবং শিশুদের লক্ষ্য করে শুরু হয় গুলি। এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে ওরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy