হ্যাকিং নিয়ে হট্টগোল এ বার ফরাসি ভোটেও।
আগামী কাল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত লড়াই। তার ঠিক আগে ভোটের দৌ়ড়ে বেশ কয়েক কদম এগিয়ে থাকা মধ্যপন্থী ইমানুয়েল মাক্রঁ অভিযোগ করলেন, তিনি ‘ব্যাপক’ হ্যাকিংয়ের শিকার।
মাক্রঁর প্রচার শিবিরের দাবি, তাঁদের ই-মেল ও সার্ভার হ্যাক করে ৯ গিগাবাইটেরও বেশি স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হাজার হাজার ই-মেল, ছবি-সহ গুরুত্বপূর্ণ ফাইল। প্রাথমিক পর্বের ভোটে অতি-দক্ষিণপন্থী প্রার্থী মারিন ল্য পেনের থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়েছিলেন মাক্রঁ। সেই কারণে তাঁকে হ্যাকিংয়ের শিকার হতে হল বলে অভিযোগ তরুণ নেতার।
অভিযোগ দায়ের হয়েছে দেশের নির্বাচন কমিশনের কাছেও। আজই এ নিয়ে বৈঠক ডেকেছে কমিশন। নির্বাচনী নিষেধাজ্ঞা মেনে এই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করতে দেশের সমস্ত সংবাদ সংস্থাকে বারণ করে দিয়েছে। কিন্তু হ্যাকিংয়ের নেপথ্যে কারা? সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ দিনভর ঘোরাফেরা করেছে এই প্রশ্নটাই।
শুক্রবার রাতে ‘পেস্টবিন’ নামে একটি ডকুমেন্ট শেয়ারিং ওয়েবসাইটে ফাঁস হয়ে যায় মাক্রঁ শিবিরের ই-মেলের বিপুল সম্ভার। ‘ইমেললিক্স’ নামের একটি প্রোফাইল থেকে তা ফাঁস করা হয়। মাক্রঁ-ঘনিষ্ঠদের দাবি, ফাঁস হওয়া ‘আসল’ ই-মেলের ভিড়ে ইচ্ছাকৃত ভাবেই মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে কিছু ভুয়ো মেল ও ছবি। তথ্য ফাঁস করার সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিক্স জানিয়েছে, মাক্রঁ-র এই অভিযোগ যথার্থ কি না, তা তারা খতিয়ে দেখছে।
জাপানের অ্যান্টি-ভাইরাস প্রস্তুতকারী একটি সংস্থা যদিও এই তথ্য চুরির পিছনে রুশ হ্যাকারদের হাতই দেখছে। মার্কিন প্রেসি়ডেন্ট নির্বাচনের সময়ে একই অভিযোগ করেছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টন। এখনও তিনি বলে আসছেন, রুশ হ্যাকাররা এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের জন্যই ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। ফুঁসছে মাক্রঁ শিবিরও। হ্যাকিং নিয়ে কাউকে দোষারোপ না করলেও, বিষয়টিকে ‘ফ্রান্সের গণতন্ত্রের উপরে ধাক্কা’ বলে মন্তব্য করেছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy