চিন্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট? ফাইল ছবি।
রাষ্ট্রপুঞ্জে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে ফের ধাক্কা খেল আমেরিকা। আরব ভূখণ্ডের ‘অধিকৃত’ গাজা স্ট্রিপের হামাস গোষ্ঠীর নিন্দা করার জন্য দেওয়া মার্কিন প্রস্তাব পাস হল না রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদে।
ওই প্রস্তাব পাস হওয়ার জন্য সাধারণ পরিষদের সদস্য দেশগুলির দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন জরুরি ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার ওই মার্কিন প্রস্তাবের পক্ষে পড়ে ৮৭টি ভোট। বিপক্ষে ৫৭টি। ভোটদানে বিরত থাকে ৩৩টি দেশ। ওয়াশিংটন প্রস্তাবটি এনেছিল মূলত ইজরায়েলের ইচ্ছায়। ভোটাভুটির পর হামাসের তরফে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে সাধারণ পরিষদকে।
দিনকয়েক আগেও ওই মার্কিন প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি হয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদে। ওই প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার জন্য শুধুই সংখ্যাগরিষ্ঠতা নাকি দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন, তা নিয়ে। তাতে সাধারণ পরিষদের সদস্য ৭৫টি দেশ দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার পক্ষে ভোট দেয়। ৭২টি দেশ জানায়, এ ব্যাপারে শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠতাই যথেষ্ট। সেই ভোটাভুটিতেও ২৬টি দেশ অংশ নেয়নি।
আরও পড়ুন- মেয়েদের কাছে ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক’ নিজেদের ঘরই! বলছে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট
আরও পড়ুন- বেনজির কাদা ছোড়াছুড়ি, প্রাক্তন মার্কিন বিদেশ সচিবকে ‘জড়বুদ্ধি সম্পন্ন’ বললেন ট্রাম্প
ফলে, ওই মার্কিন প্রস্তাব রাষ্ট্রপুঞ্জের সাদারণ পরিষদে পাস করানোর জন্য প্রয়োজন হয়ে পড়ে সদস্য দেশগুলির দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন। সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি বৃহস্পতিবার ভোটাভুটিতে তোলার জন্য মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি। যিনি ট্রাম্প প্রশাসনে কট্টর ইজরায়েলপন্থী বলে পরিচিত। রাষ্ট্রপুঞ্জে এই বছরেই মেয়াদ ফুরোচ্ছে নিকির দায়িত্বের। তার আগে রাষ্ট্রপুঞ্জে মার্কিন প্রস্তাবটি পাস করাতে উদ্যোগী হয়ে ওঠেন নিকি। ভোটাভুটিতে ওই প্রস্তাবটিকে সমর্থন করার জন্য গত সোমবারই সাধারণ পরিষদের সদস্য দেশগুলির প্রত্যেকটিকে আলাদা ভাবে চিঠি দিয়েছিলেন নিকি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy