Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

গণ-চাপে বিল স্থগিত হংকংয়ে 

দু’দিন আগেও কিন্তু ছবিটা ছিল অন্য রকম। হংকংয়ের প্রত্যর্পণ আইনে ক্যারি যে বদল আনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাতে ছিল— কোনও অপরাধীকে মামলার প্রয়োজনে অন্য দেশের হাতে প্রত্যর্পণ করা যাবে।

সাংবাদিক বৈঠকে হংকংয়ের প্রশাসনিক প্রধান ক্যারি।—ছবি রয়টার্স।

সাংবাদিক বৈঠকে হংকংয়ের প্রশাসনিক প্রধান ক্যারি।—ছবি রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
হংকং শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৯ ০২:২৬
Share: Save:

বিক্ষোভ আর প্রতিবাদে এক সপ্তাহ কার্যত রাস্তাতেই পড়েছিল হংকং। সেই চাপের মুখে অবশেষে ‘অপরাধী প্রত্যর্পণ’ আইনে পিছু হটতে বাধ্য হল প্রশাসন। হংকংয়ের প্রশাসনিক প্রধান ক্যারি লাম আজ সাংবাদিক বৈঠকে এ নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, ‘‘বিলটিকে ঘিরে সমাজে যে বিভাজন, বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে, সেটা আমরা চাইনি। হংকংয়ের শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে এই বিল নিয়ে আপাতত থেমে আরও এক বার ভাবার প্রয়োজন রয়েছে।’’ হংকং সরকারের এই রাখার ঘোষণাকে আজ সমর্থন করেছে বেজিংও।

দু’দিন আগেও কিন্তু ছবিটা ছিল অন্য রকম। হংকংয়ের প্রত্যর্পণ আইনে ক্যারি যে বদল আনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাতে ছিল— কোনও অপরাধীকে মামলার প্রয়োজনে অন্য দেশের হাতে প্রত্যর্পণ করা যাবে। এই দেশগুলির মধ্যে যে হেতু চিনও রয়েছে, তাই গোড়াতেই এ নিয়ে আপত্তি তোলেন সাধারণ হংকংবাসী। তাঁদের বক্তব্য ছিল, এই আইন পাশ হলে ফের দাদাগিরি শুরু করবে চিন। বলা হতে থাকে, চিনের একান্ত অনুগত হিসেবে ক্যারিই গণতন্ত্রে বিপদ ডাকছেন। প্রতিবাদে বুধবার শহরের রাস্তায় নামেন প্রায় ১০ লক্ষ। বিক্ষোভকারীদের হটাতে লাঠি, কাঁদানে গ্যাস, রবার বুলেটও ছুড়তে হয়েছিল দাঙ্গা-দমনকারী পুলিশকে। অনড় ক্যারি অবশ্য জানিয়েছিলেন, কোনও ভাবেই এই বিল বাতিল করা হবে না। হংকংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে আইন বদলের পক্ষে বার্তা দিয়েছিল বেজিং-ও। হংকংয়ে গণ-বিক্ষোভের কড়া সমালোচনা করে চিনা বিদেশ মন্ত্রক এ নিয়ে পরোক্ষে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল আমেরিকাকেও। আজ অবশ্য চাপের মুখে সুর নরম দু’পক্ষেরই। ক্যারি সাংবাদিক বৈঠকে বললেন, ‘‘এই বিল নিয়ে আপত্তি কিসের, সেটা বুঝতে সমাজের সব অংশের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’’ তবে কোনও চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে না বলেও জানান।

চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমে খবর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গত কাল রাতে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকেন ক্যারি। ওই দিনই আবার পুলিশের রবার বুলেট

চালানোর প্রতিবাদে বেশ কিছু এলাকায় অবস্থান বিক্ষোভ করেন শহরবাসীরা। চিনা বিদেশ মন্ত্রক এই স্থগিতাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে জানিয়েছে, ‘‘শুধু চিনের স্বার্থে নয় হংকংয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখাটা বিশ্বের একটা বড় অংশের পক্ষেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Hong Kong Extradition Bill Beijing Carrie Lam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE