আটক জাহাজ।
এ বার তেল নিয়ে ধুন্ধুমার। উত্তর কোরিয়ায় তেল রফতানির ক্ষেত্রে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের। অথচ অভিযোগ, তার পরেও দিব্যি চলছে চোরা কারবার। কিন্তু কারা পাঠাচ্ছে তেল? দক্ষিণ কোরিয়ার পরে কাল মার্কিন প্রেসি়ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও চিনের দিকেই আঙুল তোলেন। আজ সোল জানিয়েছে, গত মাসে তেল-পাচারের সময়ে হংকংয়ের একটি জাহাজ আটকেছে তারা। লাইটহাউস উইনমোর নামের ওই জাহাজ থেকে প্রায় ৬০০ টন পরিশোধিত তেল তুলে দেওয়া হচ্ছিল পিয়ংইয়ংয়ের একটি জাহাজে।
অর্থাৎ, ‘হাতেনাতে পাকড়াও’। কাল বেজিংকে বিঁধতে গিয়ে টুইটারে ঠিক এই শব্দগুলোই ব্যবহার করেছিলেন ট্রাম্প। আজ তার প্রমাণ-সহ সুর চ়ড়াল সোল। চিন অবশ্য এই অভিযোগ উ়ড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে, অবৈধ কারবারের সঙ্গে জড়িত এমন কোনও জাহাজ গত অগস্ট থেকে তাদের বন্দর থেকে পাড়ি দেয়নি। সঙ্গে এ-ও বলা হয়েছে, যদি পরে প্রমাণিত হয় যে চিন কোনও ভাবেই রাষ্ট্রপুঞ্জের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেনি, তা হলে চিন আইনি পথেই এ সব অভিযোগের উপযুক্ত জবাব দেবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার একাধিক সংবাদমাধ্যম যদিও বেশ কয়েক দিন ধরেই তেলের অবৈধ কারবার নিয়ে চিনকে ধারাবাহিক ভাবে নিশানা করে আসছে। বস্তুত এ সব প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করেই কাল তোপ দাগেন ট্রাম্প। উত্তর কোরিয়াকে শিক্ষা দিতে চেয়ে চিনের ভূমিকায় তিনি যে সন্তুষ্ট নন, তা-ও ফের জানিয়ে দিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথায়, ‘‘আমি হতাশ। এমনটা চলতে থাকলে কোনও ভাবেই উত্তর কোরিয়ার সমস্যা মেটানো সম্ভব নয়।’’
আন্তর্জাতিক কূটনীতিক মহলের একাংশ বলছে, উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন নিজেও এই সমস্যা মেটাতে তেমন আগ্রহী নন। বরং দেশকে আরও পরমাণুসমৃদ্ধ করার দিকেই নজর তাঁর। যুদ্ধের মেজাজেই বেপরোয়া কিম। উত্তর কোরিয়ায় তেলের আমদানি অন্তত ৯০ শতাংশ ছেঁটে ফেলার ব্যাপারে রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রস্তাবে গত সপ্তাহেই সমর্থন জানিয়েছিল বেজিং। কিমের দেশ আর যাতে একটিও পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করতে না পারে, সে জন্য চিনের কাছে সে দেশে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়েছিলেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাও। কিন্তু বেজিং আদতে উল্টো পথেই হাঁটছে বলে অভিযোগ মার্কিন প্রেসি়ডেন্টের।
সোল আজ জানিয়েছে, গত ১১ অক্টোবর লাইটহাউস উইনমোর নামের ওই তেল-বাহী জাহাজটি তাদের বন্দরে ভেড়ে। সেখান থেকে জাহাজটি তাইওয়ানের উদ্দেশে রওনা দেয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক জলপথে হঠাৎই গতিপথ বদলে সেটি বিপুল পরিমাণে তেল পাচার করে উত্তর কোরিয়ার জাহাজে। আটক জাহাজটি এখনও দক্ষিণ কোরিয়ার হেফাজতে। চিনের দাবি, এই অভিযোগের ভিত্তিতে তারাও তদন্ত শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy