Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪
Maldives

মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিলেন সলি, হাজির মোদীও

চলতি বছরের শুরুতে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয় মলদ্বীপে। চিনের মদতে বিরোধী নেতাদের ধরপাকড় শুরু করে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিনের সরকার।

শপথ নিচ্ছেন ইব্রাহিং সলি। ছবি: এপি।

শপথ নিচ্ছেন ইব্রাহিং সলি। ছবি: এপি।

সংবাদ সংস্থা
ম্যালে শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৮ ২০:৪৩
Share: Save:

মলদ্বীপের সপ্তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শনিবার শপথ নিলেন ইব্রাহিম মহম্মদ সলি। ম্যালের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। গত সাত বছরে এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ভারত মহাসাগরীয় ওই দ্বীপপুঞ্জে গেলেন।

তাঁর উপস্থিতিতে শপথবাক্য পাঠ করেন সলি। নিজের সরকারের আগামী ১০০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, দুর্নীতিমুক্ত শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য। আগামী ১০০ দিনের মধ্যে বিদ্যুতের দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

চলতি বছরের শুরুতে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয় মলদ্বীপে। চিনের মদতে বিরোধী নেতাদের ধরপাকড় শুরু করে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিনের সরকার। এই স্বেচ্ছাচারিতার তীব্র বিরোধিতা করে নয়া দিল্লি। সেনা পাঠায় ম্যালে-তে। চিনা প্রভাব থেকে মলদ্বীপকে মুক্ত করতে এগিয়ে আসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ অন্য দেশগুলিও। তার পর সেপ্টেম্বরে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হয় সেখানে। তাতে ইয়ামিনকে হারিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয় বিরোধী জোট। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইব্রাহিম সলি।

আরও পড়ুন: ‘যাদের কিছু লুকনোর আছে, তারাই বাধা দিচ্ছে সিবিআইকে’​

আরও পড়ুন: চিনের প্রভাব কমায় ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা মলদ্বীপের​

মোদীর আগে ২০১১-র নভেম্বরে শেষবার সেখানে পা রেখেছিলেন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। মলদ্বীপই সার্ক (দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংগঠন)অন্তর্ভুক্ত একমাত্র দেশ, ক্ষমতায় আসার পর এত দিন যেখানে পা রাখেননি মোদী। ২০১৫-র মার্চ মাসে একবার যাওয়া ঠিক হয়েছিল তাঁর। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য সেই সময় তা সম্ভব হয়নি।

শপথগ্রহণ উপলক্ষে রওনা দেওয়ার আগে টুইটারে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “মলদ্বীপের স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং মানবসম্পদ সংক্রান্ত উন্নয়নে ভারতও হাত মেলাতে চায়। সলির নয়া সরকারকে তা জানাব।” তিনি আরও লেখেন, “মলদ্বীপের সাম্প্রতিক নির্বাচনই প্রমাণ করে যে, সে দেশের মানুষ গণতন্ত্র, শৃঙ্খলা এবং সমৃদ্ধি চান। উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। ভারতও তেমনটাই চায়। যাতে সেখানে স্থিতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং শান্তিপূর্ণ শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE