ছবি: সংগৃহীত।
প্রতিবেশী বলয় নিয়ে অতিমারির মধ্যে উদ্বেগে নয়াদিল্লি। চিনের সঙ্গে সীমান্তে সংঘাতের পাশাপাশি বাংলাদেশ এবং নেপালের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি, চাপ আরও বাড়িয়ে তুলেছে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির। গত অগস্ট মাসে বাংলাদেশের অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের পরেই ঢাকার সঙ্গে তিক্ততা তৈরি হয়। যা কালক্রমে বেড়েছে বই কমেনি। আশঙ্কা, পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে চিন।
সম্প্রতি বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার ঢাকা সফরের মাধ্যমে সম্পর্কে কিছুটা গতি আনার চেষ্টা করা হয়েছে। সেই গতি অব্যাহত রাখতে আজ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ফোনে কথা বলেছেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন-এর সঙ্গে। জয়শঙ্কর তাঁকে জানিয়েছেন, শীঘ্রই বাংলাদেশ সফরে যেতে আগ্রহী তিনি। পাশাপাশি বকেয়া থাকা দুদেশের জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের বৈঠক এ মাসেই করার ব্যাপারে কথা হয়েছে। ভিডিয়ো মাধ্যমে এই বৈঠক হবে।
ভারতে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শেষ হলে তা পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশকে যে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, সে কথা জানিয়েছে সাউথ ব্লক। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য যোগাযোগ বাড়ানোর ব্যাপারেও উদ্যোগী হয়েছে মোদী সরকার। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে ভারতীয় বিদেশসচিব জানিয়েছেন যে অতিমারির কারণে দীর্ঘদিন সফর বন্ধ থাকা এবং সঠিক খবরের আদানপ্রদানের অভাবে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। সেটা কাটাতেই তিনি বাংলাদেশ সফর করেন এবং তাঁর সঙ্গে সে দেশের নেতৃত্বের খুবই ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy