Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
International

পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা রাখা জরুরি, জিনপিংকে বললেন নরেন্দ্র মোদী

ভারত এবং চিনের উচিত অবশ্যই পরস্পরের আকাঙ্খা এবং উদ্বেগকে সম্মান দেখানো উচিত। চিনে গিয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জি-২০ শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেওয়া সহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক কর্মসূচি হাতে নিয়ে শনিবারই চিনে পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। রবিবার চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন মোদী।

এই উষ্ণতা কি শুধু ছবিতেই থাকবে? নাকি বাস্তবেও সেই পথেই হাঁটতে শুরু করবে ভারত-চিন? হ্যাংঝোউতে মোদী-জিনপিং। ছবি: পিটিআই।

এই উষ্ণতা কি শুধু ছবিতেই থাকবে? নাকি বাস্তবেও সেই পথেই হাঁটতে শুরু করবে ভারত-চিন? হ্যাংঝোউতে মোদী-জিনপিং। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৭:৪৭
Share: Save:

ভারত এবং চিনের উচিত অবশ্যই পরস্পরের আকাঙ্খা এবং উদ্বেগকে সম্মান দেখানো উচিত। চিনে গিয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জি-২০ শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেওয়া সহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক কর্মসূচি হাতে নিয়ে শনিবারই চিনে পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। রবিবার চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন মোদী। সেখানেই পারস্পরিক শ্রদ্ধার বিষয়টি জোর দিয়ে তিনি উত্থাপন করেছেন মোদী।

তিন মাসেরও কম সময়ে চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠক হল ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর। মূলত জি-২০ শীর্ষ বৈঠকের জন্যই মোদীর এই চিন সফর। কিন্তু তার মধ্যেই ব্রিকস দেশগুলির (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা) শীর্ষ নেতাদের একটি বৈঠক আয়োজিত হয়েছিল। আগামী মাসে গোয়ায় ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন হবে। তার প্রস্তুতি হিসেবেই চিনে ব্রিকস দেশগুলির শীর্ষ নেতারা এক দফা বৈঠক কর নিলেন। সেই বৈঠকের ঠিক আগেই ভারত ও চিনের প্রেসিডেন্ট দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন। চিন যে বিদেশ নীতি নিয়ে চলছে এবং আন্তর্জাতিক স্তরে যে রকমের অক্ষ তৈরি করতে চাইছে, ভারতের কাছে যে তা একেবারেই কাম্য নয়, সে কথা স্পষ্ট করে দিতে প্রধানমন্ত্রী দ্বিধা করেননি। তিনি চিনা প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘‘ভারত এবং চিনের উচিত পরস্পরের আশা-আকাঙ্খা এবং উদ্বেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া।’’ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে চিনের ভূমিকা যে সন্তোষজনক নয়, তা চিনের নাম না করেও বেশ স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘সন্ত্রাসের জবাব দেওয়ার সময় রাজনৈতিক স্বার্থের কথা মাথায় রাখা উচিত নয়।’’ জঙ্গি সংগঠন জইশের প্রধান মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধ করার যে দাবি রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারত পেশ করেছিল, তা ভেস্তে দিতে চিনের যে ভূমিকা ছিল, সেই প্রসঙ্গে টেনেই যে প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য, তা স্পষ্ট।

আরও পড়ুন: ওবামার সফরসঙ্গীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করলেন চিনা কর্তারা

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সুর কিন্তু বেশ কিছুটা রক্ষণাত্মকই ছিল। দ্বিপাক্ষিক মতভেদ দূর করার জন্য চিন এবং ভারতের গঠনমূলক পদক্ষেপ করা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন। প্রেসিডেন্ট শি বলেন, ‘‘ভারত এবং চিনের মধ্যে যে কষ্টার্জিত সুসম্পর্ক রয়েছে, চিন তা ধরে রাখতেই ইচ্ছুক এবং সহযোগিতার পরিসর আরও বাড়াতে ইচ্ছুক।’’

মোদী-জিনপিং বৈঠকের পর ব্রিকস দেশগুলির যে শিখর বৈঠক হয়েছে, নরেন্দ্র মোদীই তাতে সভাপতিত্ব করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Narendra Modi Xi Jinping
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE