মামুন আবদুল গায়ুম
দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে এবং আন্তর্জাতিক মহলে মলদ্বীপের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেভারত যে ভাবে সহযোগিতা করেছে তা অনস্বীকার্য। রবিবারে সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন কথাই জানালেন মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গায়ুম। একই সঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, দেশের নতুন সরকার ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলার চেষ্টা করবে। মামুন বলেন, “ইয়ামিন যে ক্ষতি করেছে, দেশের মানুষ তাঁর যোগ্য জবাব দিয়েছে।”
সুসম্পর্কের জেরে মলদ্বীপে ভারতের একটা প্রভাব রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরেই। বিভিন্ন সময়ে মলদ্বীপকে বহু সহযোগিতাও করেছে ভারত। কিন্তু ভারতের এই মলদ্বীপ ঘনিষ্ঠতা ভাল ভাবে নিতে পারেনি চিন। শুরু হয় তৎপরতা। ভারতকে চাপে রাখতে মলদ্বীপের সঙ্গে বেজিং ঘনিষ্ঠতা বাড়ানো শুরু করে। আর এ কাজে ভারতের থেকে অনেকটাই এগিয়ে যায় চিন।যে মলদ্বীপে ২০১১ সাল পর্যন্ত চিনের দূতাবাসও ছিল না, এখন সেখানে রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক প্রতিটি পদক্ষেপে জড়িত বেজিং। গত ডিসেম্বরে সাউথ ব্লকের রক্তচাপ দ্বিগুণ করে মলদ্বীপের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করে চিন।প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিনের সময়ে চিনের সঙ্গে মলদ্বীপের ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়ে। আর এই ঘনিষ্ঠতা ভারতের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আশঙ্কা করা হচ্ছিল এ বার দেশে একাধিপত্য কায়েম করার চেষ্টা করতে পারেন ইয়ামিন। হয়েছিলও তাই। আর সেই চেষ্টা সফল করতে গিয়ে দেশে জরুরি অবস্থা ডেকে আনেন তিনি।
ইয়ামিনের এই অবস্থানকে ভাল ভাবে নিতে পারেনি ভারত। তার সরকারের বিরোধী-দমন নীতি নিয়ে সুর চড়ায় নয়াদিল্লি। কী ভাবে মলদ্বীপে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনা যায় সে প্রসঙ্গ আন্তর্জাতিক মহলে তোলে।জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে মলদ্বীপে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেল নয়াদিল্লি। সে পরামর্শ মানেননি প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন। আর এখান থেকেই দু’দেশের সম্পর্কে তিক্ততার সূত্রপাত। তবে সাক্ষাৎকারে মামুন এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমি বিশ্বাস করি নতুন সরকার আবার ভারতের সুসম্পর্ক ফিরিয়ে আনবে। ভারত তো বটেই, অন্য বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গেও যাতে সম্পর্ক নষ্ট না হয় সে দিকটাও নজর রাখা হবে।” মামুনের এই কথাই পরোক্ষে ইঙ্গিত দিচ্ছে যে মলদ্বীপ ফের ভারতের দিকে নজর ঘোরাতে চাইছে।
আরও পড়ুন: নিজের শহর দিল্লিতে আর ফেরা হল না লায়ন এয়ারের পাইলট সুনেজার
আরও পড়ুন: বিশ্বের জিডিপি বৃদ্ধিতে ভারতের অবদান আরও বাড়ছে, বলছে রিপোর্ট
(সারাবিশ্বের সেরা সব খবরবাংলায় পড়তে চোখ রাখতে পড়ুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy