Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ক্ষেপণাস্ত্রে বাধা নয় আমেরিকা, আশায় ভারত

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তিতে আমেরিকা বাধা হয়ে দাঁড়াবে না বলেই আশা করছে সাউথ ব্লক। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের ওয়াশিংটন সফরের পরে নরেন্দ্র মোদী সরকারের এই আশা আরও বেড়েছে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৩৬
Share: Save:

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তিতে আমেরিকা বাধা হয়ে দাঁড়াবে না বলেই আশা করছে সাউথ ব্লক। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের ওয়াশিংটন সফরের পরে নরেন্দ্র মোদী সরকারের এই আশা আরও বেড়েছে। তবে কূটনীতিকদের মতে, আগামী তিন সপ্তাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়া সংক্রান্ত যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তা শুধুমাত্র ভারত-নির্দিষ্ট নয়। তাই ভারতের ক্ষেত্রে যদি এককালীন ছাড় দেওয়া হয় তা হলে গোটা বিষয়টাই লঘু হয়ে যাতে পারে।

রাশিয়ার কাছ থেকে উচ্চপ্রযুক্তি এবং বহুমূল্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জুজু ঝুলছে গত কয়েক মাস ধরেই। নয়াদিল্লিও সাধ্যমতো দৌত্য চালিয়ে গিয়েছে আমেরিকার সঙ্গে। ভারতের বক্তব্য, যেহেতু এই চুক্তিটি নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে পাকা কথা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার দীর্ঘদিন আগেই হয়ে গিয়েছে, তাই এর থেকে এখন আর সরে আসা সম্ভব নয়। তা ছাড়া এই একই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায় বলীয়ান হয়ে রয়েছে পাকিস্তান এবং চিন। ফলে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক ভারসাম্য বজায় রাখার স্বার্থে হাতে এস-৪০০ আসা আশু প্রয়োজন।

বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ডোভাল যাওয়ার আগে ভারতীয় বায়ুসেনার একটি শীর্ষ পর্যায়ের প্রযুক্তিবিদ দল ওয়াশিংটন যায়। এক জন এয়ার মার্শালের নেতৃত্বাধীন এই প্রতিনিধি দল পেন্টাগনে গিয়ে বিশদে আলোচনা করে সে দেশের সামরিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, মার্কিন ‘এরিয়াল প্ল্যাটফর্ম’-এ থাকা আমেরিকার ‘ইলেকট্রনিক সিগনেচার’-সহ বিভিন্ন গোপন তথ্য কোনওভাবেই অন্য কোনও দেশের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ওয়াশিংটনকে। কথা দেওয়া হয়েছে, রাশিয়ার থেকে ক্ষেপণাস্ত্র কিনলেও আমেরিকার কোনও সংশ্লিষ্ট ‘এনক্রিপটেড’ তথ্য তাদের জানানো হবে না।

তবে এত স্পর্শকাতর বিষয়ে শুধুমাত্র মুখের কথাতেই ট্রাম্প প্রশাসন ছাড় দিতে রাজি হয়ে যাবে কি না তা নিয়ে এখনই নিশ্চিত নয় দিল্লি। যে সমস্ত বেসরকারি মার্কিন সংস্থাগুলি ভারতকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে তাদের সঙ্গেও ‘লবি’ করছে নয়াদিল্লি। এই মার্কিন সংস্থাগুলিও চাইছে না ভারত নিষেধাজ্ঞার খপ্পরে পড়ুক। তাহলে নয়াদিল্লির সঙ্গে তাদের বিপুল অঙ্কের বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE