Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
International news

সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর প্রথমে ভারতের ফোনই ধরেনি পাকিস্তান!

বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাক সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আক্রমণ করার সুযোগ পেয়ে হাতছাড়া করেননি মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘সামনা-সামনি যুদ্ধের সাহস নেই বলেই ওরা পেছন থেকে হামলা চালাচ্ছে। কিন্তু মোদী এর জবাব দিতে জানে।’’

পাকিস্তানকে বিঁধলেন মোদী। ছবি: রয়টার্স।

পাকিস্তানকে বিঁধলেন মোদী। ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৮ ০৯:৫২
Share: Save:

সংবাদমাধ্যমকে জানানোর আগে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা পাকিস্তানকে জানানোর চেষ্টা করেছিল ভারত। লন্ডনে প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানে ঠিক এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে সন্ত্রাস নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না পাক সেনাবাহিনীকেও।

দেশে বিদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে এর আগেও ২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সাফল্য নিয়ে অনেক কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু বুধবার লন্ডনের সেন্ট্রাল হলে ‘ভারত কী বাত,সবকে সাথ’- অনুষ্ঠানে মোদীর গলা থেকে শোনা গেল বেশ কিছু অজানা তথ্য। তিনি বলেছেন, ‘‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক শেষ হওয়ার পর পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল।স্ট্রাইকের কথা পাক সেনাবাহিনীকে প্রথম জানানোর জন্য আমিই নির্দেশ দিয়েছিলাম। ভারতের তরফ থেকে বেলা ১১ টা থেকে ওদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু শুরুতে ওরা ভয়ে পেয়ে ফোন ধরেনি। পরে দুপুরের দিকে ওদের সঙ্গে কথা হয়। এর পর সেই খবর সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হয়।’’

বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাক সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আক্রমণ করার সুযোগ পেয়ে হাতছাড়া করেননি মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘সামনা-সামনি যুদ্ধের সাহস নেই বলেই ওরা পেছন থেকে হামলা চালাচ্ছে। কিন্তু মোদী এর জবাব দিতে জানে।’’

পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসের কারখানা’ বলে চিহ্নিত করেছেন মোদী। উরি হামলায় ১৯ জওয়ানের মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সেনারা যখন তাঁবুতে ঘুমোচ্ছিল, সেই সময় জনা কয়েক কাপুরুষ মিলে হামলা চালায়। এর কড়া জবাব দেওয়ার দরকার ছিল।’’ তাঁর বার্তা, ‘‘সন্ত্রাস রফতানি করে যারা নিরিহ মানুষকে হত্যা করে, তাদের রেয়াত করা হবে না।’’ নাম না করে মোদী কিন্তু হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন পাকিস্তানকেই।

আরও খবর: কাঠুয়া নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়, লন্ডনে গিয়ে বললেন মোদী

আরও খবর: বিলেতেও কাঠুয়া নিয়ে বিক্ষোভের মুখে মোদী

মোদীর বক্তব্যে উঠে এসেছে দেশের রাজনীতি থেকে শিশু কন্যাদের উপর নির্যাতনের প্রসঙ্গ। কাঠুয়া কিংবা উন্নাও নিয়ে বিরোধীরা সুর চড়ানোয় উষ্মার সুর ধরাপড়েছে প্রধানমন্ত্রীর গলায়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বাচ্চা মেয়েকে ধর্ষণের চেয়ে ভয়ানক আর কী হতে পারে? তবে আমাদের সময়ে এমন ঘটনা বেশি হয়েছে না অন্যদের সময়ে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলাও লজ্জাজনক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE