সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়া ও তার জন্য হাওয়ালা চক্র চালানোর উপরে নজরদারির খাঁড়া নেমে আসতে পারে আগামী জুন মাসে। আন্তর্জাতিক আর্থিক টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ)-র ধূসর তালিকায় নাম উঠতে পারে পাকিস্তানের। এতে বাণিজ্যিক ভাবেও সঙ্কটে পড়বে ইসলামাবাদ। ভারতের উদ্যোগে ও মার্কিন চাপেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে তোপ দেগেছে পাকিস্তান। কিন্তু তার মধ্যে ভারতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)-র বৈঠকে ডাক পেলেন পাক মন্ত্রী।
১৯ ও ২০ মার্চ দিল্লিতে ডব্লিউটিও-র মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হবে। সেখানেই পাক বাণিজ্যমন্ত্রী পারভেজ মালিককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পারভেজ সম্মতি দিয়েছেন বলেও বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর।
সাউথ ব্লক সূত্রের খবর, এখনও পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তপ্ত নিয়ন্ত্রণরেখা। ফলে আনুষ্ঠানিক ভাবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এখনও সম্ভব নয়। কিন্তু ট্র্যাক-টু আলোচনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইসলামাবাদের সঙ্গে কথা জারি রাখতে চায় দিল্লি। তা ছাড়া ডব্লিউটিও-র
মঞ্চে বিদেশ মন্ত্রকের বদলে সক্রিয় বাণিজ্য মন্ত্রক। ফলে পাক মন্ত্রী এলেও বিষয়টি সরাসরি কূটনৈতিক আলোচনার মর্যাদা পাচ্ছে না। সাউথ ব্লকের কর্তারা জানাচ্ছেন, আমেরিকা সন্ত্রাসে মদত বন্ধ করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে পাকিস্তানকে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের স্বার্থেই ইসলামাবাদের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করতে চায় না দিল্লি।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, কিছু দিনের মধ্যে এক বন্দি বিনিময়ের কথাও ভাবছে দু’দেশ। এ ক্ষেত্রে দু’দেশের জেলে বন্দি মহিলা, শিশু ও মানসিক ভাবে অসুস্থদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে কূটনৈতিক সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy