হাফিজ সইদ। ছবি: সংগৃহীত।
হাফিজ সইদের মুক্তি নিয়ে ফের পাকিস্তানকে বিঁধল ভারত। অন্য দিকে লস্কর প্রধান হাফিজের দাবি, তার মুক্তির আদেশ পাকিস্তানের ‘স্বাধীনতার জয়’।
হাফিজকে কালই গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে লাহৌর হাইকোর্টের বিচারবিভাগীয় বোর্ড। ভারতের দাবি, সইদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ হাতে থাকা সত্ত্বেও তাকে মুম্বই হামলার মামলায় জড়াচ্ছে না পাকিস্তান।
আজ ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভিশ কুমার বলেন, ‘‘বোঝাই যাচ্ছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ তালিকায় থাকা জঙ্গিদের দেশের মূলস্রোতে সামিল করার চেষ্টা করছে পাকিস্তান।’’ সম্প্রতি রাজনৈতিক দল গড়েছে সইদের সংগঠন জামাত উদ দাওয়া। সরাসরি না বললেও রভিশের ইঙ্গিত সে দিকেই বলে মত কূটনীতিকদের।
আজ মুক্তি পেতে পারে সইদ। মুক্তির আদেশ শুনে গৃহবন্দি অবস্থাতেই এক ভিডিও বার্তা প্রচার করেছে সে। তাতে ওই জঙ্গি নেতা বলেছে, ‘‘আমার মুক্তির আদেশ পাকিস্তানের স্বাধীনতার জয়।’’ বিদেশি শক্তির চাপেই তাকে গৃহবন্দি করা হয়েছিল বলে বরাবরই দাবি করে এসেছে সইদ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপে পাকিস্তান সইদকে বন্দি করেছিল বলে ধারণা কূটনীতিকদের। সইদের মুক্তির পরে পাকিস্তানকে ‘ন্যাটো বহির্ভূত গুরুত্বপূর্ণ মিত্র’ দেশ হিসেবে আর স্বীকৃতি না দেওয়ার দাবি উঠেছে আমেরিকার নানা শিবির থেকে। পাক সরকারি সূত্রের ইঙ্গিত, আন্তর্জাতিক চাপের ফলে সইদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস-বিরোধী আইনে নয়া অভিযোগ এনে তাকে ফের আটক করতে পারে পাক সরকার। একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সইদের কৌঁসুলি এস কে ডোগর।
হাফিজকে নিয়ে টানাপড়েনের ফলে ভারত-পাক সম্পর্ক যে নতুন ভাবে তিক্ত হয়েছে তার ইঙ্গিত মিলেছে এ দিন। পাকিস্তানে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে অভিযুক্ত কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী-কে দেখা করতে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু আজ ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, কুলভূষণের স্ত্রী-র নিরাপত্তা নিয়ে ‘সরকারি নিশ্চয়তা’ দিতে হবে পাকিস্তানকে। পাল্টা তোপ দেগেছে ইসলামাবাদও। পাক বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারত পাকিস্তানিদের চিকিৎসার জন্য ভিসা নিয়ে রাজনীতি করে। মানবতা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। যখন যাঁকে ভিসা দিলে রাজনৈতিক প্রচার পাওয়া যায় তাঁকেই দেওয়া হয়। সম্প্রতি চিকিৎসার জন্য কয়েক জন পাকিস্তানিকে ভিসা দেওয়ার কথা টুইটারে জানিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। অন্য দিকে আজ কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে ইসলামাবাদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy