মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জিম ম্যাটিস (বাঁ দিক থেকে) ও বিদেশ সচিব মাইক পম্পেওর সঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
চিনকে রুখতে ভারতের সঙ্গে হাত মেলাল আমেরিকা।
মহাকাশ থেকে নজরদারির তথ্য দেওয়া-নেওয়া নিয়ে ভারতের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি হল আমেরিকার। যার নাম- ‘কমিউনিকেশনস কমপ্যাটিবিলিটি অ্যান্ড সিকিওরিটি এগ্রিমেন্ট (কমকাসা)’।
এর ফলে, দক্ষিণ এশিয়ায় গোপন সন্ত্রাসবাদী ও অন্য দেশগুলির পরমাণু প্রস্তুতির ওপর কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে মহাকাশ থেকে নজর রাখবে দু’টি দেশ। আর যখন যেমন তথ্য ও ছবি পাবে, দেরি না করে তারা তখনই সেই সব তথ্য একে অন্যকে দেবে। মহাকাশ থেকে নজরদারি চালিয়ে পাওয়া তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে তা একে অন্যের সঙ্গে দেওয়া-নেওয়া করবে দু’টি দেশ।
দু’টি দেশেরই আগ্রহ ছিল বলে এই ঐতিহাসিক চুক্তিতে সই করার প্রস্তুতি চলছিল বেশ কিছু দিন ধরে। তা বাস্তবায়িত হল বৃহস্পতিবার। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জিম ম্যাটিসের আলাদা আলাদা বৈঠকে। দু’য়ে দু’য়ে (টু প্লাস টু) বৈঠকে ভারত ও আমেরিকার আট হাত জোড় বাধল।
In today's meeting we reaffirmed to cooperate in every possible way to ensure peace, prosperity and development. Also pledged to continue cooperation against terrorism and other security challenges: Defence Minister Nirmala Sitharaman after '2+2' talks with the United States pic.twitter.com/lIFSlFS8WG
— ANI (@ANI) September 6, 2018
We agreed on working together towards entry of India in the Nuclear Suppliers Group (NSG): EAM Sushma Swaraj after '2+2' talks with the United States pic.twitter.com/YDQ3igbHJ2
— ANI (@ANI) September 6, 2018
We welcome President Trump's policy on Afghanistan. We are working together in the fight against terror: EAM Sushma Swaraj after '2+2' talks with the United States https://t.co/vFZOTpViXf
— ANI (@ANI) September 6, 2018
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই চুক্তির ফলে ভারতে ‘গার্ডিয়ান’ ড্রোন-সহ আরও বেশি অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বেচার রাস্তা খুলে গেল আমেরিকার সামনে। আর ইরান থেকে তেল আমদানি চালিয়ে যাওয়া এবং রাশিয়ার কাছ থেকে সর্বাধুনিক মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম (ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা) ‘এস-৪০০’ ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার প্রস্তুতির প্রেক্ষিতে ভারতের বিরুদ্ধে আমেরিকার অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল, এই চুক্তির ফলে তা অনেকটাই প্রশমিত হতে পারে বলে কূটনীতিকদের অনুমান।
আরও পড়ুন- আমেরিকার চাপ কাটানোই চাপ দিল্লির
আরও পড়ুন- এফ ১৬-এর ডানা এ বার ভারতেই তৈরি হবে, ঘোষণা লকহিড মার্টিনের
এ দিন বৈঠকের শুরুতে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, ‘‘এই চুক্তি শুধু প্রতিরক্ষায় নয়, আরও অনেক ক্ষেত্রে কাছাকাছি এনে দেবে ভারত ও আমেরিকাকে।’’
দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের ‘দাদাগিরি’র দিকে ইঙ্গিত করে মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও এ দিন বৈঠকেই বলেন, ‘‘সমুদ্রে বিভিন্ন দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক সংহতি বজায় রাখতেও অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে ভারত ও আমেরিকা।’’
পরে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমারও তাঁর টুইটে এই সুষমা-পম্পেও বৈঠককে ‘খুবই কার্যকরী’ বলে উল্লেখ করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy