ম্যানিলায় মুখোমুখি নরেন্দ্র মোদী এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল চিত্র।
বেজিংয়ের রক্তচাপ বাড়িয়ে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারতের শক্তিশালী জোট প্রকাশ্যে এসেছে সোমবারই। পাশাপাশি, সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সেই বৈঠকের মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হোয়াইট হাউসের ঘোষণা, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করা হবে। একই সঙ্গে সন্ত্রাস দমনে যৌথ ভাবে কাজ করার কথাও বলেছে হোয়াইট হাউস।
ভারত–মার্কিন সম্পর্কের ভবিষ্যতের কথা বলতে গিয়ে হোয়াইট হাউসের প্রিন্সিপাল ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি রাজ শাহ বলেন, ‘‘ভারত হল আমেরিকার স্বাভাবিক বন্ধু। কারণ, উভয় দেশই সন্ত্রাস দমন এবং গণতন্ত্রের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’
সোমবার মোদী-ট্রাম্প বৈঠকের পর থেকেই কূটনীতিকদের এক পক্ষের অভিমত ছিল, ট্রাম্পের মোদী সম্পর্কে উচ্ছ্বাসের পিছনে রয়েছে বেজিংকে চাপে রাখার কৌশল। এ দিন সেই জল্পনা ধামাচাপা দেওয়ারও চেষ্টা করেন শাহ। তাঁর কথায়, ‘‘ভারত–মার্কিন সম্পর্ক নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই।’’
আরও পড়ুন: মোদীর দরাজ প্রশংসায় ট্রাম্প
ভারত-মার্কিন ‘বন্ধুত্ব’ এবং একে পারস্পরিক প্রশংসা নিঃসন্দেহে চাপ বাড়াচ্ছে বেজিংয়ের উপর। চিনের পাশাপাশি চাপ বাড়ছে ইসলামাবাদের উপরও। মাসুদ আজহারকে জঙ্গি তকমা দেওয়ার ক্ষেত্রে চিনের বিরোধিতা, সন্ত্রাস প্রশ্নে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান না নেওয়া— চিনের এই সব আচরণ নয়াদিল্লি-বেজিং সম্পর্কে তিক্ততার অন্যতম প্রধান কয়েকটি কারণ। অন্য দিকে, দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের সম্প্রসারণবাদী কার্যকলাপের কঠোর বিরোধিতায় অনড় আমেরিকা। সে লড়াইয়ে আমেরিকা কিন্তু ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার সমর্থনও পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প-দুতের্তে বৈঠকে মানবাধিকার উঠল কি
সম্প্রতি চিন সফরে গিয়ে ট্রাম্প সে দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঝালিয়ে নিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু তার পরেও বার বার ওয়াশিংটনের তরফে বার্তা দেওয়া হচ্ছে, এশিয়া-প্যাসিফিক বা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ভারতই এখন আমেরিকার অন্যতম প্রধান সহযোগী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy