Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
International News

১৩ বছরেই সফটঅয়্যার কোম্পানির মালিক কেরলের আদিত্যন

১৩ বছরেই দুবাইতে একটা সফটঅয়্যার কোম্পানিও খুলে ফেলল কেরলের আদিত্যন রাজেশ।

আদিত্যন রাজেশ। ছবি: ফেসবুক।

আদিত্যন রাজেশ। ছবি: ফেসবুক।

সংবাদ সংস্থা
দুবাই শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৮:২৫
Share: Save:

৯ বছর বয়সেই একটা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে বাড়ির লোককে চমকে দিয়েছিল সে। এখন তার বয়স ১৩। আর চমকানোর পরিধিটাও বাড়তে বাড়তে দেশের বাইরে বিদেশেও বিস্তৃত হতে শুরু করেছে। এই ১৩ বছরেই দুবাইতে একটা সফটঅয়্যার কোম্পানিও খুলে ফেলল কেরলের আদিত্যন রাজেশ।

পাঁচ বছর বয়স থেকেই কম্পিউটারের প্রতি তীব্র ঝোঁক রাজেশের। স্কুল থেকে বাড়িতে পা রাখতে না রাখতেই কখনও মোবাইল, কখনও আবার কম্পিউটার নিয়ে খুটখুট করত সে। আর তার জন্য রোজ বাড়ির লোকের কাছে জুটত বকাঝকা। কিন্তু এই বকাঝকার মাঝেই দিনে দিনে নিজের প্রযুক্তি প্রীতিটা অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিল সেই একরত্তি। তারই মধ্যে হুট করে এক দিন আদিত্যনের হাত দিয়ে বেরিয়ে আসে একটা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। বহু মানুষের মনে ধরে যায় ছোট্ট ছেলেটার তৈরি করা ওই অ্যাপ্লিকেশন। ওই শুরু। তখন থেকেই আদিত্যনের জন্য আসতে শুরু করে দেয় এক এক করে কাজের প্রস্তাব। বেশ কিছু সফটঅয়্যার কোম্পানির জন্যও লোগো ডিজাইনিং করতে শুরু করে দেয় আদিত্যন। শুধু তাই নয়, এমনকি সে সময়ে তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো ওয়েবসাইটও তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছিল ৯ বছরের আদিত্যন রাজেশ।

আদিত্যনের কোম্পানির নাম ‘ট্রিনেট সলিউসনস’। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে আদিত্যনের বক্তব্য, ‘‘কেরলের থিরুভিল্লাতে আমার জন্ম। আমি যখন পাঁচ বছরের, তখনই আমার পরিবার দুবইতে চলে আসে।’’

আরও পড়ুন: গাড়িঘোড়া থামিয়ে দিচ্ছেন এলভিস প্রেসলি!

তবে আদিত্যনকে ওয়েবসাইটের সঙ্গে প্রথম পরিচয়টা করিয়ে দিয়েছিলেন তার বাবাই। আদিত্যনের কথায়, ‘‘আমার বাবা প্রথমে যে ওয়েবসাইটের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিলেন সেটার নাম বিবিসি টাইপিং। এই ওয়েবসাইট থেকেই ছোটরা টাইপিংয়ের খুঁটিনাটি সম্পর্কে জানতে পারে।’’

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সর্বজিৎ সিংহ হত্যা মামলায় বেকসুর খালাস দুই অভিযু্ক্ত

মোট তিনজনকে নিয়ে চলে আদিত্যনের কোম্পানি। আর তারা প্রত্যেকেই আদিত্যনের স্কুলের বন্ধু। তবে আদিত্যন এখন দিন গুনছে, কবে তার বয়স ১৮ হবে। আদিত্যনের কথায়, ‘’১৮ বছর বয়স হলে আমি প্রতিষ্ঠিত একটা কোম্পানির মালিক হতে পারব। যদিও আমরা তিনজন খুব সিরিয়াসলি আমাদের কোম্পানিটা চালাই। ১২ জনেরও বেশি ক্লায়েন্ট রয়েছেন আমাদের। কোডিং সার্ভিস থেকে ডিজাইন সবই আমরা বিনামূল্যে ক্লাইন্টদের জন্য করে থাকি।’’

(সারা বিশ্বের সেরা সব খবর বাংলায় পড়তে চোখ রাখতে পড়ুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE