পাকিস্তানে ভারতীয় হাইকমিশনার অজয় বিসারিয়া। -ফাইল চিত্র।
গত দু’মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার।
পাকিস্তানে ভারতীয় হাইকমিশনার অজয় বিসারিয়াকে রাওয়ালপিন্ডিতে গুরুদ্বার পরিদর্শনে যেতে দেওয়া হল না। মাঝপথেই বিসারিয়াকে ফিরে যেতে বলা হল ইসলামাবাদে। ওই গুরুদ্বারে শিখ পর্যটকদের সঙ্গেও দেখা করার কথা ছিল তাঁর।
গত এপ্রিলে বিসারিয়া-সহ ভারতীয় হাইকমিশনের কয়েক জন পদস্থ কর্তাকেও শিখ পর্যটকদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছেন, শনিবার রাওয়ালপিন্ডির কাছে হাসান আবদালে গুরুদ্বার ‘পাঞ্জা সাহিব’-এ যাওয়ার কথা ছিল ভারতীয় হাইকমিশনারের। তার জন্য পাক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন বিসারিয়া। তাঁকে সেই অনুমতি দেওয়াও হয়েছিল। কিন্তু এ দিন সকালে বিসারিয়া যখন ইসলামাবাদ থেকে রাওয়ালপিন্ডির পথে, তখনই তাঁকে ‘পাঞ্জা সাহিব’ গুরুদ্বারে যেতে নিষেধ করা হয়। ভারতীয় হাইকমিশনারকে হেনস্থা করার ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিদেশ মন্ত্রক বিষয়টি পাক সরকারকে জানিয়েছে।
আরও পড়ুন- সৌজন্য দেখাল না পাকিস্তান, ইদে মিষ্টি বিনিময় বন্ধ ওয়াঘায়
আরও পড়ুন- বন্ধ ঘরে হোক কথা, কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে প্রস্তাব পাকিস্তানের
ভারত ও পাকিস্তানের হাইকমিশনের কর্তাদের আচার-আচরণ দু’দেশে কেমন হবে, তাঁদের কী ভাবে চলতে হবে, তা নিয়ে ১৯৯২ সালে একটি সমঝোতায় পৌঁছয় দিল্লি ও ইসলামাবাদ। তা ঠিক মতো মেনে চলা হচ্ছে কি না, খতিয়ে দেখা হয় গত মার্চে।
কিন্তু তার এক মাস কাটতে না কাটতেই পাকিস্তানে শিখ পর্যটকদের সঙ্গে দেখা করতে বাধা দেওয়া হয় বিসারিয়া-সহ ভারতীয় হাইকমিশনের কর্তাদের। সেই সময়েও ভারতের তরফে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল। দিল্লির অভিযোগ, সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন এজেন্সিকে দিয়ে শিখ পর্যটকদের মগজধোলাই করে চলেছে ইসলামাবাদ। খলিস্তান আন্দোলনকে সমর্থন করানোর জন্য।
দু’দেশের ধর্মস্থানগুলি যাতে ঘুরে দেখতে পারেন ভারতীয় ও পাকিস্তানিরা, তার জন্য ১৯৭৪-এ দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে একটি প্রোটোকল চালু হয়। গতকালই ইসলামাবাদের তরফে জানানো হয়, জুনের ২১ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত গুরুদ্বার ‘দেরা সাহিব’-এ মহারাজা রঞ্জিত সিংহের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ৩০০ জন ভারতীয় শিখ পর্যটককে ভিসা দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy