Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

আমেরিকায় ছাত্র হেনস্থায় অভিযুক্ত বাঙালি অধ্যাপক

পড়ুয়াদের দিয়ে পরিচারকের কাজ করানোর অভিযোগ উঠল আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি-কানস সিটি (ইউএমকেসি)-র এক বাঙালি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি স্থানীয় সংবাদপত্রে উঠে এসেছে এই তথ্য। 

অসীম মিত্র

অসীম মিত্র

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:০৫
Share: Save:

পড়ুয়াদের দিয়ে পরিচারকের কাজ করানোর অভিযোগ উঠল আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি-কানস সিটি (ইউএমকেসি)-র এক বাঙালি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি স্থানীয় সংবাদপত্রে উঠে এসেছে এই তথ্য।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক অসীম মিত্র ১৯৯৪ সালে ইউএমকেসি-র স্কুল অব ফার্মাসি বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। অভিযোগ, তিনি ভারতীয় পড়ুয়াদের দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করাতেন। তাঁর প্রাক্তন পড়ুয়ারা জানাচ্ছেন, তার মধ্যে ছিল ঘর মোছা থেকে শুরু করে পোষা কুকুরের রক্ষণাবেক্ষণ, অতিথিদের খাবার পরিবেশনের মতো কাজও।

অসীমবাবুর এক প্রাক্তন গবেষক -পড়ুয়া কামেশ কুচিমাঞ্চির কথায়, ‘‘ইউএমকেসি-তে আমার জীবন আধুনিক দাসপ্রথারই নামান্তর হয়ে উঠেছিল।’’ ভারত থেকে গবেষণার জন্য আমেরিকা গিয়েছিলেন কামেশ। অসীমবাবুর বিরোধিতা করলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বার করে দেওয়ার ভয় দেখাতেন, এমনকি ভিসা কেড়ে নেবেন বলেও ‘ব্ল্যাকমেল’ করতেন বলে অভিযোগ কামেশের।

আরও পড়ুন: কিছুই করেনি, ফের পাক অনুদান ছাঁটলেন ট্রাম্প

সম্প্রতি এ নিয়ে জ্যাকসন কাউন্টি সার্কিট কোর্টে মামলা করেন সেখানকারই আর এক বাঙালি অধ্যাপক মৃদুল মুখোপাধ্যায়। তিনি গোপনে একটি কথোপকথন রেকর্ডও করেছিলেন, যেখানে অসীমবাবু এক ছাত্রকে তাঁর পোষা কুকুরকে দেখাশোনা করার নির্দেশ দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন: কাজে ভুল? শাস্তি মূত্র পান, জুটবে বেতও

যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন অসীমবাবু। তাঁর দাবি, ‘‘বহু বছর ধরেই পড়ুয়াদের আমার বাড়িতে ডেকে নিই। তাঁরা এসেছেন। তাঁদের পড়াশোনা সংক্রান্ত কাজ করেছেন। আমার স্ত্রীর হাতের রান্নাও খেয়েছেন। পড়াশোনার বাইরে অন্য কোনও ব্যক্তিগত কাজ করানোর প্রয়োজন আমার কখনও হয়নি।’’

বারবার কর্তৃপক্ষকে যাবতীয় অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও তাঁরা কোনও পদক্ষেপ করেননি বলেই অভিযোগ পড়ুয়াদের। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গবেষণা খাতে বহু অর্থ সংগ্রহ করে দিতেন অসীমবাবু। পড়ুয়াদের দাবি, সে কারণেই সব জানা সত্ত্বেও অসীমবাবুর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে তাদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE