তাজ সর্দারের (বাঁ দিকে) সঙ্গে অ্যাশল্যান্ড শহরের মেয়র। ছবি: অ্যাশল্যান্ড শহরের ফেসবুক পেজ থেকে পাওয়া।
আমেরিকাতে জাতিবিদ্বেষের শিকার হলেন এক ভারতীয় রেস্তরাঁ মালিক। ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি প্রদেশের অ্যাশল্যান্ড শহরের।
অ্যাশল্যান্ড শহরেই ‘দ্য কিংস ডিনার’ নামের একটি ভারতীয় খাবারের দোকানের মালিক তাজ সর্দার। ২০০৬ সালে আমেরিকায় এসেছিলেন তিনি। আর ২০১০ সালে রেস্তরাঁ খোলেন। কিছুদিনের মধ্যেই এলাকায় জনপ্রিয় হয় তাজের খাবারের দোকান।
কয়েক দিন আগে তাজের দোকানে এসেছিলেন স্থানীয় এক মার্কিন নাগরিক। রেস্তরাঁয় কিছু খাবার কিনে তিনি বাড়ি ফিরে যান। বিভ্রাটের শুরু তার পর থেকেই। দোকানের একটি ছবি তুলে নিয়ে তিনি ফেসবুকে একের পর এক জাতিবিদ্বেষী মন্তব্য করতে থাকেন। ফেসবুকে তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘ভারতের কোনও এক আদিবাসী-উপজাতি এই দোকানটি খুলেছে। খাবার কিনেই মনে হচ্ছিল, আমি যেন আল-কায়দাকে পয়সা দিচ্ছি।’’ এই বক্তব্য লিখে তিনি ফেসবুকে তাজ সর্দারকে ট্যাগও করে দেন।
ফেসবুকে মার্কিন নাগরিকের বক্তব্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাজ সর্দার। ওই মার্কিন নাগরিক দলবল নিয়ে হামলা চালালে কী হবে, সেই কথা ভেবেই ভয় পেয়ে যান তিনি।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে ভারতকে ‘চুরি যাওয়া’ বুদ্ধমূর্তি উপহার ব্রিটেনের
যদিও সেরকম কিছুই ঘটেনি। উল্টে তাঁর পরিচিত স্থানীয় লোকজন তাঁকে সমর্থন জানাতে এগিয়ে আসেন। আর তাতেই তাঁর আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণিত করে বেড়ে যায় দোকানের বিক্রিবাটা। শুধু তাঁর পরিচিত মানুষেরাই নন, এগিয়ে এসেছে স্থানীয় প্রশাসনও। অ্যাশল্যান্ড শহরের মেয়র-ও তাঁর দোকানে গিয়ে তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: মরণোত্তর শৌর্যচক্র পাচ্ছেন জম্মু ও কাশ্মীরের জওয়ান ঔরঙ্গজেব
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মার্কিন নাগরিক পোর্টসমাউথ এমার্জেন্সি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস নামে একটি সংস্থার কর্মী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ক্রমাগত জাতিবিদ্বেষী মন্তব্যের খবর সামনে আসার পর অভিযুক্ত কর্মীকে বরখাস্তও করেছে সংস্থাটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy